সারাদেশ

রাখাইনে প্রেম, বাংলাদেশে বিয়ে

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নিধন শুরু করলে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন জোবায়ের ও নূর বেগম। আশ্রয় নেন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। এর আগে রাখাইন রাজ্যে তারা নাগরিকত্ব না পেলেও দিন পার হচ্ছিল ভালোভাবেই। হঠাৎ করেই রোহিঙ্গা নিধনের জেরে একে অপরকে হারিয়ে ফেলেন তারা।

প্রায় দুই বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তারা। মুহাম্মদ জোবায়ের ভেবেছিলেন হয়তো আর কোনোদিনই খুঁজে পাবেন না। প্রেমিকা নূর বেগমও সেরকম ধারণাই করেছিলেন। তবে শরণার্থী শিবিরে তারা একে অপরকে খুঁজে পান। আবারো চলতে থাকে তাদের দুইজনের প্রেম।

শরণার্থী জীবনেও তাই সিদ্ধান্ত নেন ঘর বাঁধার। সীমানা পেরিয়ে ক্যাম্পে এসেই ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ রোহিঙ্গা জুটি। প্রতিবেশী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় করা হয় বিয়ের আয়োজন। ধুমধাম করে না পারলেও অল্পবিস্তর আয়োজন ছিল সেখানে। সাদামাটা পোশাকে আসতে দেখা যায় বরকে। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ নেই তাদের।

নূর বেগম বলেন, রাখাইনে আমাদের পরিচয় ও প্রেম হয়। কিন্তু সেখানে থাকতে পারিনি। সহিংসতার সময় আমরা আলাদা হয়ে যাই। পরে বাংলাদেশে এসে আমাদের মোবাইলে যোগাযোগ হয়।

বিয়ে
মুহাম্মদ জোবায়ের বলেন, তাকে (নূর বেগম) রাখাইনে হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরে বাংলাদেশে এসে খুঁজে পেয়ে খুশি হই। বাবা-মা রাজি না থাকলেও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। বিয়ে করছি কিন্তু রাখাইনের মতো এখানে উৎসব করতে পারছি না।

দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের পর বাধা আর সহিংসতা এড়িয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন এ রোহিঙ্গা জুটি।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ২০ এ.এম ৯মার্চ,২০১৮ শনিবার
এএস.

Share