Home / লাইফস্টাইল / যেসব উপায়ে কমাবেন আপনার রাগ!
যেসব উপায়ে কমাবেন আপনার রাগ

যেসব উপায়ে কমাবেন আপনার রাগ!

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’- এটি শুধু কথার কথা নয়। দৈনন্দিন জীবনে এভাবেই আমরা হেরে যাই। কখনো কারো কথায় রেগে যাই আবার কখনো বা কারো আচরণে রেগে যাই। রাগ মুহূর্তেই বাড়িয়ে দিতে পারে দু’ বন্ধুর মধ্যকার দূরত্ব। হঠাৎ করেই আপনাকে একা করে দিয়ে হারিয়ে যেতে পারে আপনার কাছের মানুষগুলো। আর তাই এই রাগকে রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। অযথা রাগ না করে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায় খুব সহজেই। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে এই রাগ নিয়ন্ত্রণের রাখা যায়-

১. যদি বুঝতে পারেন যে আপনার রাগ হচ্ছে, তাহলে গভীরভাবে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন। গভীর দম নিয়ে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকুন। আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন। এতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন অন্যদিকে যাবে। আর গভীর শ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মাথায় অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াবে, মাথায় রক্ত চলাচল হবে। ফলে আপনি একটু চাঙা বোধ করবেন। ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়গুলো ভাবার সময় পাবেন।
২. হুট করে কোনো কথা বা কাজ করে বসবেন না। সময় নিন, প্রয়োজন হলে সেই মানুষটার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ রাখুন অথবা রাগের কারণটি থেকে নিজের মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিন।
৩. যখন আপনি শান্ত হয়ে গেলেন, এবার আপনার রাগের কারণগুলো তার সামনে তুলে ধরুন, ততক্ষণে অপরজনের মাথাও ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
৪. ঘটনার শুরু যেভাবেই হোক না কেন, রাগারাগিতে কোনো পক্ষেরই লাভ হয় না। রাগ সামলাতে না পারলে অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘটনাস্থল ত্যাগ করুন। একটু হেঁটে আসুন। এতে রাগারাগি আর না বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে আর আপনার মনও হয়তো একটু শান্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।
৫. আপনি যখন রেগে আছেন, স্বাভাবিকভাবেই আপনার মধ্যে নমনীয়তা কাজ করবে না। আর তাই হঠাৎ করে এমন কিছু কথা বলে ফেলতে পারেন যা অন্যের কষ্টের কারণ হতে পারে, তাই কোনো কথা না বলাই ভালো।
৬. যে কোনো সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে, একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলেই সেটা বের করা যায়।
৭. নিজেকে নিয়ে বেশি হিসাব করতে গেলে রাগ আরও বাড়বে। তাই তাত্ক্ষণিক ব্যাপারটা মেনে নিলে সমস্যা অনেকটা কমে যায়।
৮. টেনশনে সিগারেট জাতীয় কিছু খাওয়া ঠিক না, তাতে মনটা আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
৯. টেনশন কমানোর জন্য খানিকটা হাসি ঠাট্টা করা যেতে পারে, তাতে মনটা হালকা হয়ে যায়।
১০. সব থেকে ভালো উপায় হলো মেডিটেশন।
১১. রাগ উঠে গেলে বা কেউ খোঁচাতে থাকলে মুখ বন্ধ করে রাখাটা কঠিন বটে। কিন্তু এ সময় ঠোঁটে তালা মেরে রাখতে পারাটা দারুণ কার্যকর। অপরপক্ষকে মনের ঝাল মেটাতে দিন কিন্তু আপনি টুঁ শব্দটিও করবেন না। এর মধ্য দিয়ে অপরপক্ষের মনের কথাগুলো আপনি জেনে গেলেন। ধৈর্য ধরে রাখতে পারলে পরে বিষয়গুলো নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। এই চর্চা আপনাকে শক্তিমান করবে।
১২. মানুষ যেমনি মরণশীল তেমনি ভুলশীল। যদিও এ রকম কোনো শব্দ ডিকশনারিতে নেই। তবুও মানুষ ভুল করতে ভোলে না। মানুষ সব সময়ই কিছু না কিছু ভুল করে। তাই বলে সব ভুলের জন্য রেগে যাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না। রেগে না গিয়ে তাকে ক্ষমা করে দিন। দেখবেন তখন না হলেও পরবর্তীতে আপনার ভালো লাগবে। আর রেগে গিয়ে কি আপনি তার ভুল শুধরে দিতে পারবেন? ধরুন একজন রিকশাচালক আপনার গাড়িতে স্ক্রাচ ফেলে দিয়েছে। এবার আপনি তার সঙ্গে রাগ করলেই কি তা ঠিক হবে? তা না করে আপনি যদি তাকে ক্ষমা করে দেন তাহলে পরবর্তীতে তিনি সতর্ক থাকবেন।

রাগ কমায় যেসব খাবার

ডিম
ডিম আপনার মনকে প্রভাবিত করে থাকে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ডি, আছে যা আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রতিদিনে খাদ্যতালিকায় ১টি বা ২টি ডিম রাখার চেষ্টা করুন।

কলা
কলাতে প্রচুর প্ররিমাণে ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম আছে যা আপনার নার্ভকে শান্ত রাখে। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আপনার নার্ভ অনেকটা শান্ত হয়ে যাবে।

আলু
কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ একটি খাবার আলু। এটি রক্তচাপ কমিয়ে আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

আপেল
রাগকে নিয়ন্ত্রণে আপেলের জুড়ি নেই। হঠাৎ খুব রাগ হলো একটি আপেল খেয়ে নিন আর দেখুন রাগ অনেক কমে গেছে।

অ্যাভাকাডো
অ্যাভাকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি আছে যা মস্তিষ্কের কোষকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে থাকে। এতে বিটা ক্যারাটিন, লুটিন, ভিটামিন ই, এবং গ্লুটাথায়ন আছে। যা নার্ভকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে

Leave a Reply