Home / জাতীয় / রাজনীতি / গণতন্ত্র ও জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো ইস্যুতে আলোচনায়

গণতন্ত্র ও জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো ইস্যুতে আলোচনায়

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০১৫    ১০:০১ অপরাহ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য আহ্বান জানিয়ে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশের দু’দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে উভয় দলকে তাদের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার জন্যও আহ্বান জানান মোদি।

নরেন্দ্র মোদির এই আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার দুপরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘যে কোনো ইস্যু নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে বিএনপি।’

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বহির্বিশ্ব চায় বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আলোচনায় বসুক। আলোচনার মাধ্যমেই এই দুটি বড় রাজনৈতিক দল দেশের জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। তাই বহির্বিশ্বের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপি বার বার সরকারকে আলোচনার জন্য আহ্বানও জানিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা বিএনপির সেই আহ্বানে ছাড়া দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস করে। সুতরাং বিএনপি এখনো যে কোনো ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি আছে।’

এদিকে খালেদা-মোদির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে মোদির কাছে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন- সব প্রতিষ্ঠানকে শেখ হাসিনা সরকার কুক্ষিগত করে নিজের হাতিয়ার করেছে বলেও খালেদা জিয়ার মোদির কাছে অভিযোগ করেছেন।

শুধু নিজের দেশের সরকারই নয়, ভারতের মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধেও খালেদা জিয়া অনুযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদির কাছে। বিএনপি নেত্রীর অভিযোগ, মনমোহন সরকারের প্রশ্রয়েই ভোটের ‘প্রহসন করে’ শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করেছেন। তিনি আশা করেন, মোদির সরকার এই নীতি পুনর্বিবেচনা করবে।

তবে মোদি খালেদাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন- কেন তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছেন না? জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারা বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নিয়েও সরকারের আচরণে পিছিয়ে আসেন।’ মোদি তখন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এড়িয়ে অন্য কোনো পথে হাঁটার সুযোগ সংসদীয় ব্যবস্থায় নেই। আলোচনায় না বসলে কোনো সমস্যার সমাধানও মেলে না।’

সবশেষে খালেদা জিয়াকে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শই দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা যে ভারত মেনে নেবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর সে কারণেই অনেকটা নমনীয় হয়ে সরকারের সঙ্গে যে কোনো ইস্যুতে বসতে চায় একসময় দেশের ক্ষমতায় থাকা বিএনপি।

 

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমসর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না