চাঁদপুরে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে খ্যাতি চরটি কাটা পড়তে পারে

চাঁদপুরে মেঘনার পশ্চিম তীরে অবস্থিত ‘মিনি কক্সবাজার’ চরটি কেটে ফেলা হবে। নদীর নাব্যতা বাড়াতে এবং মেঘনার ভাঙন থেকে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ রক্ষায় এটি জরুরি হয়ে পড়েছে। এমনটি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টার দিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মেঘনার পশ্চিম তীরে মিনি কক্সবাজার চাঁদপুর শহররক্ষায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ভ্রমণপিপাসু মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। কিন্তু নদীর গতি ধারা এবং নাব্যতা ঠিক রাখতে চরটি দ্রুত কেটে ফেলতে হবে বলে নদী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে এই চারটি থাকলে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। তাই অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন…   চাঁদপুরে ‘মিনি কক্সবাজার’ জন্যে হুমকিতে পড়বে শহররক্ষা বাঁধ

সভায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নকিব আল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক আইডিয়া হচ্ছে ওই চরটি কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, আগের একটি প্রতিবেদনে এটি কাটার দরকারের কথা বলা হয়েছে। এরপর আমাদের বলা হয়েছে চরটি কাটার দরকার হলে গবেষণা করার জন্য। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইডব্লিউএমর মাধ্যমে গবেষণা চলছে। তারা পদ্মা থেকে শুরু করে মেঘনার ওই চ্যানেলটি নিয়ে গবেষণা করছে। তাদের চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, লেখক পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের তিন নদীর (পদ্মা, মেঘনা, ডাকাতিয়া) মোহনা বড় স্টেশন মোলহেড থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পদ্মা ও মেঘনার মিলনস্থলের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের বালুময় একটি ভূমি মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি পায়। গত কয়েক বছরে স্থানটি বিনোদনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ঘুরতে আসে। চারদিকে নদী ও দূর থেকে পর্যটন কেন্দ্রটি দক্ষিণ-পূর্বাংশে চাঁদপুর জেলা শহরকে এবং এর বিপরীত দিকে ছোট আকৃতিতে শরীয়তপুর জেলাকে ফুটিয়ে তুলেছে। যা বিশেষ আকর্ষণ। বিশেষ করে শীত মৌসুম থেকে শুরু করে বর্ষার আগ পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে।

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

Share