Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলবে ভেঙ্গেছে সেচ খাল : ঝুঁকিতে সেতু ও অধর্শত একর ধানের জমি
sech khal

মতলবে ভেঙ্গেছে সেচ খাল : ঝুঁকিতে সেতু ও অধর্শত একর ধানের জমি

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের বেলতলী বেড়ী বাঁধ সংলগ্ন সেচ খাল (কে-২) ভেঙে যাওয়ার ৪ দিন পরেও সংস্কার হয়নি

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ভেঙ্গে যাওয়া স্থান পরিদর্শনে গেলে দেখা গেছে এখনো সংস্কার হয়নি। এতে পাশের আরেকটি গ্রামীণ সেতু ভেঙ্গে যাওয়া উপক্রম ছাড়াও অন্তত অর্ধশত একর ধানের জমি সেচের অভাব নষ্ট হচ্ছে।

এ সেচ খালটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কালীপুর পাম্প হাউজ থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত ১১ কি.মি. সেচ খালের কৃষকরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পুরো খালে কোন পানি নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বেলতলী বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন সেচ খালের কালভার্ট ধেবে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে সেচ খালের প্রায় ২০০ গজ ফেরোসিমেন্ট ধেবে যায়। রাতে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সরেজমিনে স্থান পরিদর্শন করেন।

গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিজামুল হক ভূইয়া, প্রধান প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল, নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আতাউর রহমান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নকিব আল হাসান সহ পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংস্কারের নিদের্শ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে পাউবোর কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে পাশে অবস্থিত এলজিইডির ব্রীজটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এবং বেলতলী-মতলব সড়ক যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিকল্প পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হয়। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কালীপুর-১ অংশের কে-২, কে-২১, কে-২১১, কে-২২, কে-২৩ বড় খালগুলো এখন পানি শূণ্য। ফলে কালীপুর-বেলতলী, আমিয়াপুর-মিঠুরকান্দি, গোপালকান্দি-ব্রাহ্মণচক, চারালকান্দি- দূর্গাপুর, চারালকান্দি-বাংলাবাজার পর্যন্ত প্রায় পনেরোটি ছোট-বড় সেচ খালে তিন দিন যাবৎ পানি বন্ধ। এতে কৃষকের ষোলটি বিলের রোপা বোরো ধান পানি শুণ্যতার কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ছোট কিনারচক গ্রামের কৃষক মুজিবুর রহমান জানান, তাদের এলাকায় পানি বন্ধ থাকায় ৫০ একর জমির ধান ও চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বদরপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন খান জানান, সেচ খালে পানি না থাকায় তাদের এলাকায় ৪০ একর ফসলী জমির ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। খাগুরিয়া এলাকার কৃষক বাবু ও রায়েরকান্দি গ্রামের কৃষক কার্তিক জানায় তাদের এলাকার প্রায় ১০০ একর জায়গায় পানি যাওয়া বন্ধ রয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, এ বছর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সাত হাজার পাঁচশত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়েছে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কালীপুর-১ আতিকুর রহমান জানান, এ সেকশনের এস.ও পদ শুণ্য। আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আজ প্রাক্কলন হয়েছে শনিবার থেকে কাজ শুরু হবে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আতাউর রহমান জানান, আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। দু’এক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।

প্রতিবেদক- খান মোহাম্মদ কামালঃ