Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রী আশুলিয়া বস্তি থেকে উদ্ধার : আটক ১
ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী
Arrest-pic

মতলবে অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রী আশুলিয়া বস্তি থেকে উদ্ধার : আটক ১

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়নপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর থেকে অপহূত স্কুল ছাত্রী ঢাকার আশুলিয়া কুন্দলবাগ বড় রাঙ্গামাটিয়া এক বস্তি থেকে উদ্ধার করেছে।

২১ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোর ৫টায় মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচের নির্দেশে থানার এসআই সুমন দেবনাথ ও এসআই শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে বস্তি থেকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মাদ্রাসাছাত্র তরিকুল ইসলাম আতিককে আটক করে।

মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত শিশুটি মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। করোনার কারনে গত মার্চ মাসে শিশুটির পিতা মোঃ সেলিম মিয়া পরিবারের সদস্যদেরকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্কুল ছাত্রীটি গ্রামের বাড়িতে লেখাপড়া করতো এবং কালিকাপুর মসজিদে ভোরে কোরআন শিক্ষাগ্রহণ করতে যেত। গত ২৯ আগস্ট ভোরে শিশুটি মসজিদে কোরআন শিক্ষার জন্য যাওয়ার পথে অপহরণকারী তরিকুল ইসলাম আতিক সিএনজিতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, অপহরণকারী তরিকুল ইসলাম আতিক ঢাকার মুগদাপাড়া এলাকায় এক মাদ্রাসায় হেফজ পড়তো। শিশুকন্যার পিতার নাম মোঃ সেলিম মিয়া। তিনি চাকুরির সুবাধে ঢাকার মুগদাপাড়ায় বসবাস করতো। শিশুটি স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায় সময় উত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত।

এ ঘটনাটি শিশুর পিতা সেলিম মিয়া আতিকের বড় ভাই আবুল হোসেনকে জানিয়েছেন। কিন্তু কর্নপাত করেনি। মুগদাপাড়ায় আতিক ব্যর্থ হয়ে গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ থানার কালিকাপুর হতে অপহরণ করে। শিশুটির বাবা প্রথমে মতলব দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। থানা পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরির তদন্তে গিয়ে জানতে পারে আতিক শিশুটিকে অপহরণ করেছে।

আতিকের নাম ঠিকানা, মোবাইল নম্বর মুগদাপাড়ার মাদ্রাসা হতে পুলিশ সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে গত ১ সেপ্টেম্বর শিশুর বাবা থানায় আতিক ও তার বড় ভাই এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরন ও সহায়তার মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ মামলা রুজুর পরপরই মোবাইল ট্রেকিং ও আইটি কৌশল প্রয়োগ করে শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরনকারীকে আটকের জন্য ঢাকার মুগদা, সাভার আশুলিয়া এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু অপহরণকারী আতিক কৌশলে তার মোবাইল সিম বন্ধ করে দেয় এবং একাধিকবার সিম পরিবর্তন করে স্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

ঢাকা হতে পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে জামালপুর জেলার ইসলামপুরের এক বস্তিতে অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরনকারী আতিক শিশুটিকে নিয়ে ইসলামপুরের নদীভাঙ্গা চরের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় এবং সিম পুনরায় পরিবর্তন করে। পুলিশ কৌশল হিসেবে ইসলামপুরের দক্ষিণ গিলাবাড়ি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানের স্মরনাপন্ন হন।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আতিকের বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন সে উদ্বাস্তু। কখনও ঢাকা কখনও ইসলামপুর বস্তিতে বসবাস করে। তার কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই। গত ৩ দিন যাবৎ পুনরায় শিশুটি এক মোবাইলের সাহায্যে তার বাবা-মা’র সাথে কথা বললে পুলিশ ৩ দিনের রাত্রিকালীন অবস্থান নির্নয় করে।

জানা যায়, তাদের অবস্থান কুন্দলবাগ, জিরাবো আশুলিয়া, সাভার এলাকার বস্তিতে। অবশেষে ঘটনার ২০ দিন পর মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ শিশুটি উদ্ধার ও অপহরনকারী আতিককে আটক করা হয়।

করেসপন্ডেট,২১ সেপেটম্বর ২০২০