কচুয়ায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মুজিববর্ষ উপলক্ষে কচুয়ায় উদ্বোধন হলো মডেল মসজিদ ও অত্যাধুনিক ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ইসলামি মূল্যবোধের প্রসার ও সংস্কৃতি বিকাশে সারা দেশের ন্যায় কচুয়ায় একটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।

১০ জুন বৃহস্পতিবার একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন তিনি। বিশ্বে এ প্রথম কোনো সরকার প্রধান নিজস্ব পরিকল্পনায় বড় বাজেটে এতগুলো অবকাঠামো নির্মাণ করলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তত্ত্ববধায়ন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে চাঁদপুর জেলায় কচুয়ার একমাত্র মসজিদ এবং প্রথম পর্যায়ের ৫০টি মসজিদের মধ্যে এটি একটি।

সরেজমিনে জানা গেছে,কচুয়া পৌরসভার সুবিদপুর এলাকায় এই অত্যাধুনিক শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের তিন তলা বিশিষ্ট ভবন নিমার্ণে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের সহায়তায় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের আওতায় এ কাজটি ২০১৯ সালের ২৮ মে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেকবে ইন্টারন্যাশনাল শুরু করেন।

মসজিদ প্রাঙ্গনের অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের সংসদ সদস্য ড.মহীউদ্দিন খান আলমগীর ভার্র্চূয়ালি সম্পৃক্ত হন। এছাড়াও জেলা প্রসাশক অঞ্জনা খান মজলিশ,পুলিশ সুপার মো.মিলন মাহমুদ,ইফার উপ-পরিচালক মো.খলিলুর রহমান ,গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম , উপজেলা চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত সুলতানা খানম,নির্বাহী অফিসার দিপায়ন দাস শুভ, জমিদাতা মো.তাজুল ইসলাম ও অন্যান্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় ৪৩ শতাংশের জায়গার উপর ১২ হাজার ৫শ ৪৭ স্কয়ার বর্গফুটের জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে এই ভবন। যার নির্মিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭২ লক্ষ ২৫ হাজার ১শ ৩৪ টাকা। ভবনটির নিজ তলায় আন্ডারগ্রাউন্ডে গাড়ি পার্কিং, প্রতিবন্ধীদের জন্য সেন্টার ও নামাজের সুব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্র,ইসলামিক বুক স্টোর কার্যালয়,মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা। দ্বিতীয় তলায় থাকছে প্রধান নামাজ ঘর। এছাড়া সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস কক্ষ এবং উন্মুক্ত জায়গা যেখানে ঈদের নামাজ পড়া হবে।

তৃতীয় তলায় থাকছে পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধার কক্ষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রিসার্চ সেন্টার, ইসলামিক লাইব্রেরি, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের থাকার পৃথক ব্যবস্থা, হিফজ ও মক্তবখানা। থাকবে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা অজু খানার ব্যবস্থা এবং পৃথক নামাজের কক্ষ। এছাড়াও অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সিঁড়ি এবং শিশুদের জন্য শিক্ষাসুবিধা থাকছে এবং ওই মডেল মসজিদে প্রায় ৯৫ ফুট আকারের একটি উচু মিনার রয়েছে।

মুজিববর্ষে উদ্বোধনের তালিকায় থাকায় কচুয়া উপজেলার এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে রয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকরা দ্রুত গতিতে কাজ করছেন। দ্রæত টাইলস,প্লাষ্টারসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্নের পথে রয়েছে।

কচুয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার ও বিগত সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণকারীদের পাশে থাকায় ও সার্বিক সহযোগিতায় করায় করোনা যোদ্ধা হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত মো.হাসান মজুমদার বলেন,ইসলামি মূল্যবোধের প্রসার ও ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশের উদ্যেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। প্রতিটি মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি আলাদা অফিস থাকবে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১০ জুন ২০২১

Share