ভোটের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা চাইছেন প্রার্থী

‘ভোট ও দোয়া চাই, আর্থিক সহযোগিতাও চাই’ এ রকম কথা বলেই ব্যতিক্রমধর্মী নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার বাসদ-সিপিবির মেয়র প্রার্থী কমরেড নব কুমার কর্মকার।

ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণাসহ অন্যান্য ব্যয়ের জন্য আর্থিক সহযোগিতাও কামনা করছেন। ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদানের আশ্বাসের পাশাপাশি বাসদ-সিপিবির নির্বাচনী তহবিলে আর্থিক সহযোগিতাও করছেন। ইতোমধ্যে তার এ প্রচার শহরে জুড়ে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

মই প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী নব কুমার কর্মকার বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোড, মুজিব সড়ক, মারোয়ারীপট্টি, বাজার স্টেশন রোড, স্বাধীনতা স্কয়ার ও মোক্তারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করে চলেছেন।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পথসভায় নব কুমার ভোট প্রার্থনা করছেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনী প্রচার এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছেন। ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদানের আশ্বাসের পাশাপাশি বাসদ-সিপিবির নির্বাচনী তহবিলে আর্থিক সহযোগিতাও করছেন। শুধু তাই নয়, পথসভায় আর্থিক সাহায্যের জন্য তোলা টাকার হিসাব সমবেত ভোটারদের দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে নব কুমার কর্মকার জানান, ঘর সংসার বলতে আমার কিছু নেই। রাজনীতিই আমার নেশা এবং পেশা। বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে অনেক টাকা প্রয়োজন, যা তার দল দুটির পক্ষে জোগান দেয়া সম্ভব নয়। সে কারণে তিনি ভোটারদের কাছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চাচ্ছেন আর ভোটাররাও আমাকে সহযোগিতা করছেন।

নির্বাচনী খরচের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পোস্টার ও লিফলেট ছাপানো, মাইকিং, প্রচার, পথসভা, পোস্টার লাগানো এসব ব্যয় মেটানোর জন্য নব কুমার কর্মকার বাসদ-সিপিবির নির্বাচনী তহবিলে সহযোগিতা কামনা করেছেন।’

এদিকে, ‘ভোট চাই, টাকা চাই, বললেই সহজেই মানুষ বুঝতে পারছে মই প্রতীকের প্রচারণা। নির্বাচনে এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সিরাজগঞ্জ পৌরবাসীর কাছে।

সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে নব কুমার কর্মকার বিয়েও করেননি। এলএলবি পাসের পর তিনি রাজনীতিকে একমাত্র পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি শ্রমজীবী, মেহনতি ও খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের রাজনীতি করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাজার স্টেশনে পথসভা শেষে আর্থিক সহযোগিতার সময় সুজাব নামে এক রিকশাচালক নব কুমার কর্মকারকে ৫০ টাকা প্রদান করেন। এ সময় ওই রিকশাচালক সুজাব বলেন, ‘অন্যরা ভোটের সময় এসে টাকা দেয় চা খাওয়ায় আর ভোট হবার পর আর আমাদের খোঁজ খবর নেয় না। আমরাও কিছু বলতে পারি না কারণ ওই ব্যক্তিতো আমার পিছনে ব্যয় করেছেন কিন্তু এই লোককে আমি চিনি। বিভিন্ন দাবি নিয়ে তিনি আন্দোলন করেন। আমি তাকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করলাম তার মানে আমি তার নির্বাচনের ব্যয়ের অংশীদার হলাম।

ডেস্ক ।। আপডেট : ০৫:০৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

ডিএইচ

Share