Home / সারাদেশ / স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার দুর্নীতি বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ
education law

স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার দুর্নীতি বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

সরকারির ন্যায় দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য একটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্তকরণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে সংশিষ্টরা দাবি করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনার নীতি না থাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যে যার মতো করে চলছে। এভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।’

তিনি বলেন,সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদলেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থপনার নীতি করা হচ্ছে। ’নীতিমালার খসড়া তৈরির জন্য যুগ্ম-সচিব মাহমুদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত করা গেলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৪-২৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় জেলা প্রশাসক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ১৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব উইং প্রধানদের নিয়ে একটি সমন্বয় সভা করেন।

সভায় জেলা প্রশাসকদের মন্ত্রণালয়ের অগগ্রতি তুলে ধরে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় একজন জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারি স্কুল-কলেজের মতো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি নীতিমালা প্রয়োজন বলে ওই জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব করেন।

জেলা প্রশাসকের ওই প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, দেশের মফস্বল থেকে শুরু করে শহরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। টিউশন ফিসহ নানা ধরনের অর্থ আদায় করলেও তা স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় করে না। এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করা হয়।

এসব কারণে প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় থাকে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কে কেন্দ্র করে প্রায়ই অভিভাবকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা যায়। অনেক সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়ে। এসব অনিয়ম দূর করে অর্থিক স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালা করার সিন্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, সরকারি স্কুলের আর্থিক ব্যবস্থপনা নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের আয় করা অর্থ যথাযথ ব্যবহারের কথা বলা আছে। নির্ধারিত হারে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়,অন্যান্য খাত থেকে আদায় করা অর্থ খাতওয়ারি আলাদা ব্যাংক হিসাবে জামা রাখা এবং সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় করার কথা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সব উৎস থেকে আদায় করা অর্থ বাৎসরিক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতিতে। ফরম পূরণ, টিউশন ফি, নিবন্ধন সরকার নির্ধারিত হারে চালানের মাধ্যমে জমা করার নির্দেশনা রয়েছে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করার নির্দেশনা দেয়া আছে।

এ ছাড়া আসবাবপত্র যানবাহন ও যন্ত্রপাতি সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কেনার কথা হয়েছে। অডিটের ব্যবস্থা রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এসব ব্যবস্থা রেখে নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার শতভাগ বেতন দেন। কিন্তু সেখানে আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে একটি সুষ্ঠু নীতি দরকার।

প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৩৬ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়-ব্যয়ের হিসাব কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উৎস থেকে আদায়কৃত অর্থ নানা রকম ভাউচার দেখিয়ে ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নয়নমূলক কাজে এসব অর্থ ব্যয় করা হয় না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এসব প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর পর পর একবার পরিদর্শন করে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।
বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার আর্থিক দুর্নীতি বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

সরকারির ন্যায় দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য একটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্তকরণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে সংশিষ্টরা দাবি করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনার নীতি না থাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যে যার মতো করে চলছে। এভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।’

তিনি বলেন,সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদলেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থপনার নীতি করা হচ্ছে। নীতিমালার খসড়া তৈরির জন্য যুগ্ম-সচিব মাহমুদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত করা গেলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৪-২৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় জেলা প্রশাসক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ১৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব উইং প্রধানদের নিয়ে একটি সমন্বয় সভা করেন।

সভায় জেলা প্রশাসকদের মন্ত্রণালয়ের অগগ্রতি তুলে ধরে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় একজন জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারি স্কুল-কলেজের মতো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি নীতিমালা প্রয়োজন বলে ওই জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব করেন।

জেলা প্রশাসকের ওই প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, দেশের মফস্বল থেকে শুরু করে শহরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। টিউশন ফিসহ নানা ধরনের অর্থ আদায় করলেও তা স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় করে না। এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করা হয়।

এসব কারণে প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় থাকে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কে কেন্দ্র করে প্রায়ই অভিভাবকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা যায়। অনেক সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়ে। এসব অনিয়ম দূর করে অর্থিক স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালা করার সিন্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, সরকারি স্কুলের আর্থিক ব্যবস্থপনা নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের আয় করা অর্থ যথাযথ ব্যবহারের কথা বলা আছে। নির্ধারিত হারে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়,অন্যান্য খাত থেকে আদায় করা অর্থ খাতওয়ারি আলাদা ব্যাংক হিসাবে জামা রাখা এবং সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় করার কথা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সব উৎস থেকে আদায় করা অর্থ বাৎসরিক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতিতে। ফরম পূরণ, টিউশন ফি, নিবন্ধন সরকার নির্ধারিত হারে চালানের মাধ্যমে জমা করার নির্দেশনা রয়েছে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করার নির্দেশনা দেয়া আছে।

এ ছাড়া আসবাবপত্র যানবাহন ও যন্ত্রপাতি সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কেনার কথা হয়েছে। অডিটের ব্যবস্থা রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এসব ব্যবস্থা রেখে নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার শতভাগ বেতন দেন। কিন্তু সেখানে আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে একটি সুষ্ঠু নীতি দরকার।

প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৩৬ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়-ব্যয়ের হিসাব কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উৎস থেকে আদায়কৃত অর্থ নানা রকম ভাউচার দেখিয়ে ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নয়নমূলক কাজে এসব অর্থ ব্যয় করা হয় না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এসব প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর পর পর একবার পরিদর্শন করে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।

বার্তা কক্ষ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ৩৫ পিএম,২৯ জুলাই ২০১৮, রোববার
এজি

Leave a Reply