Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে সংবর্ধনা দেয়া হবে বিশ্বকাপ জয়ী শামীম ও জয়কে
shamim-and-joy
ফরিদগঞ্জের সন্তান ট্রফি হাতে শামীম হোসেন এবং মাহমুদুল হাসান জয়।

চাঁদপুরে সংবর্ধনা দেয়া হবে বিশ্বকাপ জয়ী শামীম ও জয়কে

অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সদস্য চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের দু’কৃতি সন্তান।আজ দুপুরে দফায় দফায় সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় লঞ্চযোগে চাঁদপুরে পৌছাবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শামিম ও জয়ের অংশগ্রহণ ফরিদগঞ্জের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বলে মনে করেন ক্রীড়া প্রেমিরা।

খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুতে দু’জন চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমি থেকে যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তারা দুজনই বিকেএসপির ছাত্র হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন।

শামিমের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়ায়, তার এহেন সাফল্যে গ্রামের বাড়িতে চলছে বাধ ভাঙ্গা জয়ের উল্লাস, আর মানুষের মুখে চলছে বিশ্বকাপ জয়ের টান টান উত্তেজনার মুহু মুহু বাক ও আলোচনা। গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বিশাল আনন্দ মিছিল আর মিষ্টি বিতরণের হিড়িক চলছেই।

এর আগে চট্টগ্রামে ভারতের সিবিএ দলের টেস্ট ম্যাচে শামিম পাটওয়ারী অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসেন।

গেলো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড এর সাথে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়।

ভালো টিং কিংবা বোলিং করেন নি, তাতে কি হয়েছে ? তারা যে স্বপ্নবাজ বাংলাদেশের বিশ্বজয়ের সাক্ষী পারফর্মন্স যাই হোক! সেমিফাইনাল থেকে এখন ফাইনালে।

আরো পড়ুন- দলকে ফাইনালে তুলে নতুন ব্যাট পুরস্কার পেলেন ফরিদগঞ্জের জয়

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের ছেলে শামীম হোসেন বাবা হামিদ পাটওয়ারী, মা রিনা বেগম গৃহিণী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শামীম সবার ছোট। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা। তার পর বিকেএসপিতে। এখন উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে, মানবিক বিভাগে পড়াশোনা চলছে।

শামীমের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প শোনালেন তার বড় ভাই মামুন। শামীম গ্রামে থাকতেই ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। স্কুল ছুটি হলেই বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে ছুটে যেপশ। ব্যাট বলের সঙ্গে তখন থেকেই তার সম্পর্ক।

নবম শ্রেণির পাঠ চুকানোর পর চাচাতো ভাই ওমর শহীদ নিয়ে যান চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমির প্রধান শামীম ফারুকীর কাছে। সেখানেই জয়ের শক্তহাতে ব্যাট ধরার হাতেখড়ি। মাত্র দুবছরের মধ্যেই প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই জয় বিগত ২০১৪ সালে চলে যান বিকেএসপিতে।

বড়ভাই মামুন আরো জানান, সিবিএ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার আলো ছড়ানো ২২৬ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু হয় সামীমের বিশ্ব ভ্রমণ। এখন , অনূর্ধ্ব ১৯ এ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে । দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। এতে আমার পরিবারও সম্মানিত হচ্ছে।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক শামীমের চাচা আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন ভাতিজা সামিমের ব্যাটিং নৈপুণ্যে আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। মা রিনা বেগমও ছেলের মুখ পানে তাকিয়ে আছেন। তাই তো মায়ের দোয়া, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে। এবং তাই হয়েছে।

অন্যদিকে, চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমির প্রধান শামীম ফারুকী জানান, তার কাছে ক্রিকেট খেলায় যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসে। তাদের সেই ভাবে ঝালাই এবং যোগ্য করে গড়ে তোলেন। তাই তো এমন ২জন ছেলেকে জাতীয় এবং বিশ্ব পর্যায়ের ক্রিকেটে অবদান রাখার অবস্থান তৈরি করে দিতে পেরেছেন।

তিনি আরো বলেন, এত দিনের পরিশ্রম আজ সার্থক হলো শামিম এবং জয় ।

আরো দেখুন- বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার নায়ক কে এই জয়?

প্রতিবেদক : শিমুল হাছান