Home / সারাদেশ / বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্যের বিরুদ্ধে তিন কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ
Rape-Nari-1

বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্যের বিরুদ্ধে তিন কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চাকরিচ্যুত এক সদস্যের বিরুদ্ধে নেত্রকোনায় তিন কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। আমিনুল ইসলাম মাসুম (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক।

গত শনিবার দিবাগত রাতে মাসুমের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সদর উপজেলার সাত নম্বর কাইলাটি ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ফচিকা বাজারে।

এর আগে শনিবার রাতে মাসুমকে ধরতে ধাওয়া দেন গ্রামের লোকজন। গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মাসুম ছবি তোলার নাম করে তিন কিশোরীকে তাঁর স্টুডিওতে ধর্ষণ করেছেন। এমন তিনটি ভিডিও ক্লিপ তাঁরা হাতে পেয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফচিকা বাজারে ‘নিলা ডিজিটাল মডেলিং স্টুডিও অ্যান্ড মোবাইল সার্ভিসিং’ নামে মাসুমের একটি দোকান রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাসুম স্টুডিও খুলে কিশোরীদের অজান্তে তাদের আপত্তিকর ছবি তোলেন। এরপর ওই ছবি প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এসব দৃশ্য আবার গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।

গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. রুহুল আমীন জানান, বিজিবিতে থাকাকালে কর্মস্থলে অভিযুক্ত হয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন মাসুম। পরে গ্রামে এসে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন তিনি। মাসুমের স্ত্রী ও আট বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।

গ্রামের বাসিন্দা জেলা অটোরিকশা শ্রমিক লীগের সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাসুম এলাকায় বিভিন্ন সময় মারামারি করত। এমনকি ভাড়াটে মাস্তান এনেও বিভিন্ন সময় গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছেন।

নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, ‘পলাতক মাসুমকে দ্রুত আটকের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, মাসুমের কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

|| আপডেট: ১০:৪১ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার

এমআরআর