Home / জাতীয় / বিএনপি প্রতিশোধ নেবে না, জাতীয় ঐক্যের চেতনাকেই প্রাধান্য দেবে

বিএনপি প্রতিশোধ নেবে না, জাতীয় ঐক্যের চেতনাকেই প্রাধান্য দেবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১০:১০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৫, বুধবার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি কখনোই প্রতিশোধের পথ বেছে নেবে না বরং জাতীয় ঐক্যের চেতনাকেই প্রাধান্য দেবে।

২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির একতরফা -ভোটবিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে সংহত করতে গিয়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ইতোমধ্যে তছনছ করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া।

বুধবার দলটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ৮৬ বছর বয়স্ক প্রবীণ নেতা জনাব এম কে আনোয়ার যখন কুমিল্লার একটি স্থানীয় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন-তখন তার জামিন বাতিল করে কারগারে পাঠানোর ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। দেশের একজন সম্মানিত প্রবীণ নেতার প্রতি সরকারে এই আচরণ চরম অমানবিক, অসহিষ্ণুতার প্রমাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।

একই বিবৃতিতে বিএনপি’র চেয়ারপারসন তার উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদকে মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকার যখন জাতীয় প্রেসক্লাবের মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের যজ্ঞে লিপ্ত-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজকে ক্ষুব্ধ করার জন্যই সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, দেশবাসী জানেন সরকারের অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যখন বিএনপি প্রতিবাদ করছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি থেকে এক চুলও সরে আসছে না, তখন সরকার সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসত্য, কাল্পনিক মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করছে, নির্যাতনও চালাচ্ছে।

কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ন্যায় বিচার লাভের আশায় মিথ্যা, সাজানো মামলা কাঁধে নিয়ে জামিন পাওয়ার জন্য যখন বিচারকের কাছে তারা আত্মসমর্পন করছেন, তখন জামিন না দিয়ে নেতা-কর্মীদের একের পর এক কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। এভাবে দেশে আইনের শাসন ভূলণ্ঠিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি আবারো বলতে চাই দেশে যে চরম রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে-সেখান থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সকল দলের অংশ গ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি দ্রুত নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। সরকার আমাদের পুনঃপুনঃ উত্থাপিত দাবির প্রতি কর্ণপাত না করায় জাতি ক্ষুব্ধ। জনগণের আকাংখার কথা সরকার পড়তে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে প্রবীন নেতা এম কে আনোয়ার, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ আটক সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন এবং মিথ্যা সাজানো মামলায় কোন নেতা কর্মীকে হয়রানী না করারও জোর দাবি জানান খালেদা জিয়া।