Home / জাতীয় / রাজনীতি / সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল আর নেই
সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল আর নেই

সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল আর নেই

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না….রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভারতের কলকাতার রবীন্দ্রনাথ কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি কিডনিসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলা গৌরীপুর গ্রামে।

পটলের ছোট ভাই হারুনুর রশিদ বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর বনশ্রীতে পটলের নিজ বাসায় বাবুর সঙ্গে কথা হয়।

বাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই (পটল) কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তাকে বাংলাদেশের স্কয়ার ও ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শেই ভারতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিডনি হাসপাতালে গত ১৬ এপ্রিল নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তিনি মারা যান।”

হাসপাতালে পটলের সঙ্গে তার তৃতীয় ভাই মিজানুর রহমান রয়েছেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মৃত্যুকালে পটল ২ ছেলে ২ মেয়ে ছাড়াও অনেক আত্মীয় স্বজন ও রাজনৈতিক কর্মী, শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।

তার ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, “বড় ভাই ছিলেন বাবার মতো। তিনি পরিবারের অভিভাবক ছিলেন। তিনি কেবল আমারই ভাই ছিলেন না। রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের সবারই তিনি ভাই ছিলেন।”

বনশ্রীর এফ ব্লকে অবস্থিত ‘কাহকাশান’ ভবনে গিয়ে দেখা যায়, এক এক করে আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহীরা বাসায় ভীড় জমাচ্ছেন। আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাসায় কোরআন খতমও চলছিল।

মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পরে জানাজা ও কবর দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান ছোটভাই বাবু।

ফজলুর রহমান পটল ১৯৯১ সালে নাটোর-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেবার তিনি প্রথমে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে ১৯৯৬ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদে গেলে তাকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

তিনি ছিলেন রাকসুর সাবেক ভিপি। শুরু থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি বিএনপির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। বর্তমান কমিটিতেও একই পদে বহাল ছিলেন তিনি।

স্বৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেয়া পটল বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেত্রীর আস্থাভাজন নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ফজলুর রহমান পটলের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন। (নিউজবাংলাদেশ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫:০০ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Leave a Reply