Home / ইসলাম / ফেরাউন সম্পর্কে অজানা ইতিহাস
ফেরাউন সম্পর্কে অজানা ইতিহাস

ফেরাউন সম্পর্কে অজানা ইতিহাস

কুরআর কারিমে বহুল আলোচিত একটা নাম ফিরআওন। কুরআন কারিমের বর্ণনায় গভীরভাবে দৃষ্টি দিলে অনেকগুলো দিক ফুটে ওঠে। যা মহান আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতাকে স্পষ্টভাবে মানুষের সামনে পেশ করে। আসুন আমরা কুরআনে কারিম থেকে বিষয়গুলো জেনে রাখি।

১. আল্লাহর কুদরতকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে, এমন কোনো শক্তি নেই। হাজার হাজার শিশুকে জবেহ করেছে মুসা যেন আসতে না পারে। যার আগমন ঠেকাতে এত আয়োজন, সে ঠিকই এসে গেল ফেরআওনের দরবারে। লালিত-পালিত হলো তার ঘরেই।

২. মানুষের হৃদয়ের মালিক আল্লাহ। মানুষের হাতে এর নিয়ন্ত্রণাধিকার নেই। কখন কার মনকে আল্লাহ কোন দিকে ঘুরিয়ে দিবেন, আগে থেকে বলা যায় না। ফেরাওন চেয়েছিল মুসাকে তার মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত করবে। আল্লাহর ফেরাওনের স্ত্রীর হৃদয়কেই মুসার প্রতি আকৃষ্ট করে দিলেন। এক মায়ের জায়গায় আল্লাহ দুই মায়ের ব্যবস্থা করে দিলেন।

৩. মানুষ চাইলেই আরেকজনকে নষ্ট করতে পারে না। বিভ্রান্ত করতে পারে না। গোমরাহ করতে পারে না। যতবড় ক্ষমতাধরই হোক সে লোক। ফেরাওনও পারেনি। সে দরবারে বসে দম্ভোক্তি করছে, আনা রাব্বুকুমুল আ’লা (আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ রব)! তার পাশের কামরাতেই স্ত্রী আসিয়া বলছে, সুবাহা-না রাব্বিয়াল আ’লা (আমার শ্রেষ্ঠ ররেব পবিত্রতা বর্ণনা করছি)।

৪. প্রতিটি ঘরেই হাজারো রহস্য লুকিয়ে থাকে। স্বামী আর স্ত্রী এক ছাদের নিচে বাস করে সত্য, কিন্তু চিন্তাটা এক থাকে না। একজন দাস বানাতে চায় মানুষকে। আরেকজন দাসী হতে চায় মানুষের স্রষ্টার।

৫. একজন মুমিন তার ঈমানের ওপর অটল থাকলে, পুরো একটা দেশের সম্মিলিত শক্তিও কিছু করতে পারে না। সমস্ত জাদুকর মিলেও কিছু করতে পারেনি। উল্টো মুসার অনুসারী হয়ে গেছে।

৬. আল্লাহ কাউকে সাহায্য করতে চাইলে, বড় কিছু লাগে না। কোনো উপকরণ ছাড়াই পারেন। মুসার লাঠিটা ছিল নিছক ঠেস দেয়ার জন্যে। গাছের পাতা পাড়ার জন্যে। কার্যকালে সেটাই হয়ে গেলো সেকালের সর্বোচ্চ সামরিক শক্তিতে বলিয়ান সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র।

৭. পৃথিবীর সবকিছুই একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মে চলে। এর হেরফের ঘটে না। কিন্তু আল্লাহ চাইলে প্রয়োজনের সময় এসব নিয়ম ভেঙে দেন। ব্যত্যয় ঘটান। নদীর স্বাভাবিক ধর্ম ছিল শিশু মুসা ডুবে যাবে। কিন্তু তা না হয়ে নদী হয়ে গেলো ‘ডাকপিয়ন’। ছেলেকে পৌঁছে দিল শত্রুর আস্তানায়। যে শিশুটাকে হত্যার জন্যে খুঁজছে।
সমুদ্রে যেখানে জাহাজ চলাচল করতে বেগ পেতে হয়। সেখানে একদল মানুষ পায়ে হেঁটে পার হয়ে গেলো। ঠিক একই স্থানে আরেক দল মানুষ ডুবে মরলো। সামান্য সময়ের ব্যবধানে।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৭:৪৬ পিএম, ২৯ মে ২০১৬, রোববার

এইউ

Leave a Reply