Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী প্রহার ও অশ্লীলতার অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী প্রহার ও অশ্লীলতার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী প্রহার ও অশ্লীলতার অভিযোগ

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ধানুয়া সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ মহসিন মিজির বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া আক্তার হ্যাপিকে প্রহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে ওই ছাত্রীর মা রাজিয়া সুলতানা বকুল ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর ধানুয়া সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শারীরিক পরীক্ষার সময় মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া সুলতানা হ্যাপিকে কোনো কারণ ছাড়াই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ মহসিন মিজি স্টিলের স্কেল দিয়ে প্রহার করে।

স্কেলের আঘাতে ওই ছাত্রীর ডানহাতের কনুই কেটে যায়।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং অশীøল কথা বলে। এছাড়া ওই শিক্ষক গত ১ মাস পূর্বে ওই ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষে মারধর করে বলে জানায় ওই ছাত্রী।

এ বিষয়টি ওই শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা বকুল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা এ প্রতিনিধিকে বলেন, আগের অভিযোগের বিচার না হওয়ায় ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে বেপরোয়া আচরণ করছে। আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এ নিয়ে সুবিচার প্রাথনা করছি।

এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ মহসিন মিজি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাও. তাজাম্মল হোসেন মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষক মহসিন স্কেল দিয়ে আঘাত করলে ওই ছাত্রীর হাতের ডানহাতের কুনুই কেটে চামড়া উপড়ে যায়, এবং সাদাং অংশ স্পষ্ট হয়ে উঠে। ছাত্রীটির মা ঘটনার পরের দিন আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসলে, ততক্ষণে ছাত্রীটির হাতের ঘা অনেকটা শুকিয়ে যায়। তবে ওইদিন (১৬ ডিসেম্বর) আমাদের শিক্ষক নিয়োগের ঝামেলা থাকায় তার মাকে পরের দিন আসতে বলি। তিনি পরের দিন আসলে মিমাংসার উদ্দেশ্যে কমিটির লোকজনসহ বসতে চাই এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মাধ্যমে ডেকে আনতে চাইলে তিনি আসতে রাজি হননি। তাই ছাত্রীটির মা উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ করে।’

মুঠোফোনে কথা বলা অবস্থায় মাও. তাজাম্মল হোসেন জানান, ‘আমি এই মাত্র উপজেলা অফিস থেকে আসলাম, নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’

সানাউল হক, ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট

 

|| আপডেট: ০৬:২১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার

এমআরআর