চাঁদপুরে এবার ৪০ হাজার মে. টন পাট উৎপাদন

চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধেীত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। অনাদিকাল থেকেই কৃষিপণ্য উৎপাদনে চাঁদপুরের সু-খ্যতি রয়েছে।,পদ্মা,ডাকাতিয়া ও মেঘনা ধনাগোদা নদী দ্বারা বেষ্টিত চাঁদপুরের মাটি ও আবহাওয়া কৃষি উপযোগী একটি জেলা। যেখানে সব রকমের কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০২০-২১ এ বছর ৪ হাজার ১শ ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার ১ শ ৭০ বেল (৫ মণে ১ বেল) । এবার পাটের বাজার মূল্যও সন্তোষজনক। সরকারিভাবে কৃষিবিভাগ কৃষকদের পাট চাষে সেবে ৩০ জন কৃষককে প্রাণাদনা দিয়েছে ।

পাট উৎপাদনেও চাঁদপুর সেরা । যার ফলেই চাঁদপুরে ১৯৬৪ সারের পর ৩টি পাটকল গড়ে উঠে। এগুলো হলো: স্টার আল কায়েদ,ডব্লিউ রহমান ও হামিদিয়া জুট মিল। এ সব মিলে শত শত পাট বোঝাই নৌকারে সারি ডাকাতিয়ার তেীরে দেখা যেত। সে সুবাধেই চাঁদপুরে ব্যাপকহারে পাট চাষাবাদ হয়ে থাকে ।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এ তথ্য জানান।

সরকারিভাবে উৎপাদনকে ‘বেল’হিসেবে থাকলেও এবারই কৃষি বিভাগ পাটের ওজন সারাদেশে মে.টনে হিসেব করছেন। তিনি জানান,‘দেশে উন্নত মানের পাট বীজের প্রয়োজন হলেও তা নেই। এতে কৃষকরা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হন।

তিনি আরো বলেন,‘দেশের উৎপন্ন দ্রব্যের বাজারকরণে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়। চালের দাম বৃদ্ধি কমানোর জন্যে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সাময়িকভাবে চালু হওয়ায় পাটের বাজার নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আবদুল গনি,২৭ অক্টোবর ২০২১

Share