Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে নৌ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জাটকা রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান
নৌ পুলিশ সুপারের
ফাইল ছবি

চাঁদপুরে নৌ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জাটকা রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান

চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে ৪টি স্পীড বোট টিম নিয়ে মেঘনা নদীতে জাটকা রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে।

২৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনায় তিনি এ অভিযান করেছেন। অভিযানে ৭টি জেলে অঞ্চল থেকে ১০ হাজার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, চাঁদপুর অঞ্চলে ১২টি নৌ থানা ফাঁড়ির প্রায় ১’শ ৭০ জন নৌ পুলিশ সদস্য জীবন ঝুঁকি নিয়ে নদীতে জেলা টাস্কফোর্সের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করছে। পহেলা মার্চ থেকে ২২শে এপ্রিল মোট ১ মাস ২২দিনে এখন পর্যন্ত ৪’শ ২৭ জন জেলে, ২৪ কোটি ৬৪ লক্ষ বর্গমিটার কারেন্ট জাল, ১’শ ৩৭টি জেলে নৌকা নৌ পুলিশ সদস্যগণ বিভিন্ন সময়ের অভিযানে আটক করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অসাধু জেলেদের কারেন্ট জাল ও জাটকা এবং নৌকাসহ আটক করে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্টে সাজা পায়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

এদিকে আজকের সাঁড়াশি অভিযান প্রসঙ্গে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, জেলে কার্ডগুলি অপেশাদার জেলেদের কাছে রয়েছে। অর্থাৎ অনেকেই জেলে ছিলো কিন্তু এখন আর জেলে পেশায় না থেকে অন্য পেশায় চলে গেছে। তবুও তারা সরকারি খাদ্য সহয়তা পাচ্ছে। এতে করে বর্তমানে পেশাদার জেলেরা সরকারি চাল পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই তারা বাধ্য হয়েই নদীতে নামছেন বলে আমাদের জানাচ্ছেন।

এজন্য জেলে কার্ডের আওতায় কারা রয়েছে তা পুনরায় হালনাগাদ করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, অন্য বছরের চেয়ে নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান এবার অনেকটাই স্বার্থক।যেজন্য নদীতে তেমন একটা অসাধু জেলে নেই বললেই চলে। তবুও আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। জাতীয় সম্পদ ইলিশের জাটকা রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ সময় চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন সিকদার, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হেলাল উদ্দিন, চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম, আলুবাজার নৌ পুুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান, ১৩ নং হানারচর ইউনিয়নের হরিনার নৌ পুুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোহাম্মদ নাসিম হোসেন এবং সঙ্গীয় নৌ পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা-মেঘনায় চাঁদপুুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়ন পর্যন্ত মোট ৭০ কিলোমিটার এলাকায় নদীতে জাটকাসহ সব রকমের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

এ সময়ে জাটকা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ সম্পূ নিষিদ্ধ। তবুও কিছু অসাধু জেলে চক্র নদীতে জাটকা স্বীকারের চেষ্টা চালায়। যাদেরকে প্রতিহত করতে জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস বিভাগের সমন্বয়ে জেলা টাস্কফোর্স নদীতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি