বিনোদন

‘তারুণ্যের সন্ধানে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’পেলো চাঁদপুরের কবি আশিক বিন রহিম

পরিবার পাবলিকেশন্সের আয়োজনে তারুণ্যের সন্ধানে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৯’ পেলো তরুণ কবি ও চাঁদপুর টাইমসের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আশিক বিন রহিম। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে প্রতিযোতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি।

এবারের প্রতিযোগীতায় ৫ শতাধিক পাণ্ডুলিপি থেকে কথাসাহিত্যে আশিক বিন রহিম এর ‘জল ও জালের আখ্যান’ গল্পগ্রন্থটি পুরস্কারের জন্যে মনোনিত হয়। আশিক বিন রহিম ছাড়াও এই প্রতিযোগীতায় কথাসাহিত্য, কবিতা ও শিশুসাহিত্যে ৩ জন করে মোট ৯জন পাণ্ডুলিপি পুরস্কারের জন্যে মনোনিত হয়েছেন। তারা হলেন, কথাসাহিত্যে: ইয়ামিন ইরান, সৈকত রায়, কবিতায়: অয়ন্ত ইমরুল, হাসান ইকবাল, রিয়েল আব্দুল্লাহ, শিশু সাহিত্যে: রানা জামান, সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও জান্নান লাবন্য।

পরিবার পাবলিকেশন্স কতৃপক্ষ জানান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যেকে মন-প্রাণ-অস্তিত্বে ধারণ করে যারা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবং নিরবে-নিভৃতে যারা ভালো লিখছেন কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় নিজকর্ম প্রকাশ করতে পারছেন না, অথচ এসব মেধাবী তরুণ লেখক যারা আগামীদিনের বাংলা সাহিত্যকে ছড়িয়ে দিতে পারে বিশ্বমঞ্চে, সেইসব তরুণের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ‘তারুণ্যের সন্ধানে’। এটা কোনো গতানুগতিক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার বা সাহিত্য পুরস্কার বিতরণ কার্যক্রম নয় । আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস একজন লেখককে একটা প্লাটফর্ম দেওয়া, যেখানে দাঁড়িয়ে সে নিজেকে তুলে ধরতে পারে।

বিগত ৪মাস আপনাদের কাছে হতে আমরা প্রায় পাঁচ শতাধিক পাণ্ডুলিপি পেয়েছি। চুলচেরা বিশ্লেষণ ও নিরপেক্ষতার বিচারে চেষ্টা করেছি যথাযথ সুবিচার করার। তারপরও যদি কোনো ভ্রান্তি অলক্ষ্যে থেকে যায় সেটা মার্জনীয় দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।

এক প্রতিক্রিয়ায় চাঁদপুরের তরুণ কবি ও কথাসাহিত্যিক আশিক বিন রহিম বলেন, বিজয় দিবসে এমন সংবাদে আমি সত্যিই অভিভূত, আনন্দিত। গত পাঁচ বছর ধরে ‘জল ও জালের আখ্যান’ গল্পগ্রন্থটি নিয়ে আমি কাজ করছি। গল্পগুলোত মূলত আমাদের যাপিত জীবন ও সমাজ বাস্তবতার চিত্র ধুলে ধরার চেষ্টা করেছি । আশা করছি গল্পগুলো পাঠকের ভালোলাগবে।

তিনি আরো বলেন, আমার এ অর্জনে সর্বপ্রথম মহান মালিকের দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। বিনীত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আয়োজক এবং আমার পরিবার ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি। যাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় আমার এই পথচলা।

উল্লেখ্য: চাঁদপুরের তরুন কবি ও গল্পকার আশিক বিন রহিম পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ১৯৮৭ সনের ২৫ নভেম্বর চাঁদপুরের শহরের পুরাণবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত আ. রহিম শেখ, মাতা বেগম ফয়জুননেছা। কবিতা, গল্প, ছড়া, ফিচার, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী লেখার পাশাপাশি তিনি তরী নামে একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করেন। বর্তমানে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে সাম্প্রতিক দেশকাল, পল্লিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের প্রধান প্রতিবেদক, চাঁদপুর টাইমসের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, পাক্ষিক চাঁদনগরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, নজরুল সংঙ্গীত শিল্পী পরিষদ জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য, জাতিয় সাহিত্য পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য, নতুন কুঁড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাবেক যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সহ বেশ কিছু শিল্পসাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছে। চাঁদপুরের অনুপম ও স্বরলিপী নাট্যদলের ব্যানারে বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। গোলো বছর অমর একুশে জাতীয় গ্রন্ধ মেলায় প্রথম কাব্যগ্রন্ধ ’প্রদ্মপ্রয়াণ’ প্রকাশিত হয়েছে।

আশিক বিনি রহিম তাঁর সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি সরূপ পেছেয়েন কবিতায়: চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী পুরুস্কার, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম পুরুস্কার (২বার), নাগরীক বার্তা লেখক সম্মাননা, নতুনকুঁড়ি লেখক সম্মাননা, চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব পুরস্কার, চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠক ফোরাম পুরস্কার, ছড়ায়: মোহনবাঁশী ছড়া উৎসব পুরস্কার, লিটলম্যাগ সম্পাদনায় ছায়াবানি মিডিয়া কমিউনেকেশন সম্মাননা এবং ফটোগ্রাফিতে বাফজএ চাঁদপুর পুরস্কার ও চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার।

স্টাফ করেসপন্ডেট

Share