Home / সারাদেশ / আরও ৩ দিন থাকবে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় ফের দুর্ভোগ
আরও ৩ দিন থাকবে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় ফের দুর্ভোগ

আরও ৩ দিন থাকবে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় ফের দুর্ভোগ

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকাসহ সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক জনজীবনে বিঘ্ন ঘটছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতায় ফের দুর্ভোগে পড়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির এ প্রবণতা আরও তিন দিন থাকতে পারে। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল ছাড়া অন্য ৬ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৯ মিলিমিটার।শুক্রবার দুপুরের পর আর বৃষ্টি না হলেও শনিবার শেষ রাত থেকে আবার শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।

এই বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া, মাতুয়াইল, শেখদী এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা, মলিবাগ, রাজারবাগ, গুলিস্তানসহ আরও বিভিন্ন এলাকায়। ডেমরা এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাই এখন পানির নিচে।

এবার বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বড় ধরনের জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে রাজধানীবাসী। বৃষ্টির কারণে কোথাও যানজট থাকলেও কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানবাহন সংকট। এতে অফিসে যেতে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন। বেলা সাড়ে ১০টার দিকেও রাজধানীর রায়েরবাগ, কাজলা বাসস্ট্যান্ডে শত শত মানুষকে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মেরাদিয়া থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত প্রচণ্ড যানজট লেগে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই পথ দিয়ে গুলশানের দিকে যাওয়া যাত্রী শেখ কাওসার হোসেন।

শনিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায়, সেখানে ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে টাঙ্গাইলে ১০৯, ময়মনসিংহে ১০০, নেত্রকোনায় ১২৩, সীতাকুণ্ডে ১৭৬, রাঙ্গামাটিতে ২৫৯, সিলেটে ১১৭, রাজশাহী বিভাগের বদলগাছীতে ১৩৪, রংপুরে ১৫৬, দিনাজপুরে ১৫৪, ডিমলায় ২১৪, সৈয়দপুরে ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ভারী এবং ৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলায় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাঙ্গামাটিতে ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।

৬ বিভাগে ফের অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে

শুক্রবারের মতো শনিবারও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।

অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বর্জ্যবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পূর্বাভাসে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৮ : ৩৪ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৭, শনিবার
এইউ

Leave a Reply