Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / জমে উঠেছে মোহনপুর কোরবানির পশুর হাট
কোরবানির

জমে উঠেছে মোহনপুর কোরবানির পশুর হাট

জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটের বেচাকেনা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসা পশুর হাটে বেড়েছে ক্রেতার-বিক্রেতাদেও উপচেপড়া ভিড়।

বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ও লুধুয়াসহ কয়েকটি স্থাযী ও অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাড়ীর উদ্যেগে মোহনপুর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন ও মাস্ক বিতরন করা হয়েছে। দুপুরে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর কোরবানির পশুর হাটে পরিদর্শন ও মাস্ক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ও মাস্ক বিতরন করেন চাঁদপুর নৌ পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত এসপি বেলায়েত হোসেন ও মোহনপুর নৌ ফাড়ীর ইনচার্জ মনির হোসেন।

মাস্ক বিতরন ও গো হাট পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে নৌ পথে ডাকাতি রোধে নৌ পুলিশ কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। গরু ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পাড়ে সেজন্য আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নৌ-পুলিশ পবিত্র ঈদুল আযহা যাতে নিরাপদে কাটাতে পারে সেজন্য নৌপথকে নিরাপদেও আশ্রয় গড়ে তোলার জন্য পকাজ করছি। তিনি আরো করোনা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ছিলো পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলার মোহনপুর কোরবানির পশুর হাট ছিলো সাপ্তাহিক পশুর হাটের দিন। এ দিন এ বাজারে সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু বাজারে মজুদ রয়েছে। ঈদের আর মাত্র দু’তিন দিন বাকী। হাতে একদম সময় নেই। ঘনিয়ে আসছে ঈদুল আযহা। তাই মোহনপুরের পশুর হাটটিতে পশু বিক্রি হচ্ছে ভালোই। ক্রেতা বিক্রেতা দর কষাকষির মধ্যে সময় পার করছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দাম নিয়ে উভয় মুটামুটি খুশি।
এ হাটে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, ছোট বড় সব দরনের দেশীয় জাতের গরু উঠেছে বাজারে। এদের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের। ক্রেতা বিক্রেতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে কথা বলে জানা গেছে দাম ছিল সাদ্যর মধ্যে।

দশানী গ্রামের গরু ক্রেতা শাহিন সরকার বলেন, পুরো বাজার ঘুরে অবশেষে একটি গরু কিনলাম ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আমার কাছে মনে হচ্ছে দাম সাদ্যর মধ্যে ছিল। আমি খুব খুশি।

বোরচর গ্রামের গরু বিক্রেতা রমিজ উদ্দিন বলেন, ৩ টি গরু এনেছি বাজারে, দুটি বিক্রি করে ফেলেছি। মোটামুটি লাভ হয়েছে।

কোন ধরনের ভিটামিন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি বলে জানান গরুর মালিক স্থানীয় মোহনপুরের মাথাভাঙ্গার খামারি শাকিল।

তিনি বলেন, নিজেই এই গরুর পরিচর্যা তিনি নিজেই করেছেন। শুধু দেশী ঘাস আর কুড়া ভুষি এবং নিয়মিত গোসল করিয়ে দিতেন । তিনি জানান আমি আমার খামারের ১০টি গরু আনছি। এখনও আমার ৫টির মধ্যে একটি গরুও বিক্রি করতে পারেনি। আমার বড় ষাড় গরুটি ৪ লাখের বেশি হলে বিক্রি করবো। এখন মূল্য হাঁকাচ্ছেন ৩ লাখ ৮০ হাজচার টাকা। যে দাম হাঁকাচ্ছে তাতে আমার খইর বুশিসহ খাদ্য খাইয়ে আমরা খরচ হচ্ছেনা। লাভ তো দূরের কথা। হাতে সময় আছে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখব না হয় আগামী পর্যন্ত অপক্ষা করে তারপর ছাড়বো।

বাজারের ইজারাদার নুরুজ্জামান মৃধা রিপন, বলেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণ দেশি গরু উঠেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের। ক্রেতা বিক্রেতা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিক্রিও বেশ ভালো হয়ছে। আসলির টাকাও কম নেওয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী শরীফ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, সমাজ সেবক মোঃ সেলিম তফাদার, মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাহিন চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য খোরশেদ আলম,মোঃ জসিম উদ্দিন, মোহনপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড শাখা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ওয়াশিম বেপারী,পাভেল প্রমূখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭ জুলাই ২০২২