Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব
মশার উপদ্রব

চাঁদপুর শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব

চাঁদপুর শহরের আনাছে, কানাছে প্রচণ্ড মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। শীতের রেশ কাটিয়ে বসন্তের বাতাস বইতেই না বইতেই গত কয়েকদিন ধরে দিন,দিন মশার উৎপত্তি বেড়ে গেছে। চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন নিয়মিত মশা নিধনের ঔষধ না ছিটানোর কারনে শহরে হঠাৎ মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে মশার উপদ্রব কম থাকলেও গরমে তার উপদ্রব অনেক বৃদ্ধি পায়।

খবর নিয়ে জানা গেছে গত কয়েক মাস পূর্বে সারা বাংলাদেশে ডেঙ্গু মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখা বেড়ে যাওয়ায় এবং ডেঙ্গুর প্রভাবে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তখন মশা নিধনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে কাজ করেছেন। এমনকি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র, প্যানেল মেয়র, পৌর সচিব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কাউন্সিলদের নিয়ে পৌরসভার স্বাস্থ বিভাগের মশা নিধন কমিটি গঠন করে মশা নিধনের জন্য কাজ করা হয়।

আর ওই কমিটির তত্বাবধানে ৪ জনের টিম গঠন করে বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিত্তিক মশা নিধনের জন্য কাজ করা হয়। কিন্তু মশা নিধনের জন্য মশার ঔষধ দেয়ার ক্ষেত্রে লোকবল সংকটে কমিটির সে কাজের অগ্রগতি অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। যার ফলে বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাসা, বাড়িতে, রাস্তা, ঘাটে, বিভিন্ন বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , হাসপাতাল, এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আনাছে কানাছে মশার উপদ্রব লক্ষ্য করা গেছে।

পৌরবাসির অভিযোগ চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিয়মত মশা নিধনের জন্য ঔষধ না দেয়ার কারনে শহরে এমন মশা দেখা দিয়েছে। তারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত মশা নিধনের জন্য কাজ করতেন তাহলে হয়তো শহরে এতটা মশার উপদ্রব দেখা যেতোনা।

চাঁদপুর পৌরসভার স্বাস্থসেবা শাখার ভান্ডার রক্ষক ফয়সাল আহমদের সাথে কথা হলে তিনি জানান মশা নিধনের জন্য ৪ জনের একটি টিম বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিত্তিক পর্যায়ক্রমে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ফিরে ঔষধ দিয়ে থাকেন। মশা নিধনের জন্য দুইটি ঔষধ ব্যবহার করা হয়। একটি হচ্ছে মশার ডিম ধংসকারী লাভা ঔষধ, অন্যটি মশা মরার ঔষধ টিপসি লিকুয়িট। মশা এবং মশার ডিম নিধনের জন্য এই দুটি ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তিনি জানান, আমার ৬ টি মেশিন রয়েছে। আর এই ৬ টি মেশিন দিয়ে ৪ জন করে কাজ করেন। শীত মৌসুমে শহরের প্রত্যেক ড্রেন গুলোতে মশার ডিম ধংসকারী লাভা ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া মশা নিধনের জন্য বিভিন্ন বাজার, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে আলাদা নজরদারী করা হয়ে থাকে। আমাদের ৪ জন লোক পর্যাক্রমে কাজ করছে। তাই হয়তো এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে দিতে দিতে পুনরায় আবার ওইসব এলাকায় মশার উৎপত্তি হয়ে থাকে।

চাঁদপুর পৌরসভার স্বাস্থ বিভাগের মশা নিধন কমিটির, প্রধান দায়িত্বে থাকা প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী জানান, ডেঙ্গুর প্রভাবের সময় হতে মশা নিধনের জন্য আমরা ১৫ টি কার্যক্রম চালিয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের সে কার্যক্রম কিছুটা বিরত রয়েছে। এখন যদি আবার মশার এমন উপদ্রব হয়ে থাকে তাহলে আমরা আমাদের সেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।

কবির হোসেন মিজি