Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর লঞ্চঘাটে রশিদ ছাড়া টোল আদায়সহ ব্যাপক অনিয়ম
Launch tarminal Eid
ফাইল ছবি

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে রশিদ ছাড়া টোল আদায়সহ ব্যাপক অনিয়ম

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার লঞ্চঘাটের অভিযানের সময় বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের নির্দেশনা দেয়ার পরেও চাঁদপুর লঞ্চঘাটের যানবাহন টোল আদায়ে চলছে ব্যাপক অনিয়ম।

গত দু’দিন ধরে অনুসন্ধান করে সরজমিনে দেখা গেছে , লঞ্চঘাটের টোল আদায়কারীরা বিভিন্ন সিএনাজ স্কুটার ও অটোবাইক থেকে টোল আদায় করছেন ঠিকই কিন্তু পূর্বের সে অনিয়ম রয়েই গেছে।

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি )সন্ধ্যায় লঞ্চঘাটে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেছে যে ঘাটের দায়িত্বে থাকা টোল আদায়কারীরা বিভিন্ন স্কুটার ও অটোবাইক চালকদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে টোল আদ্য়া করছেন ঠিকই কিন্তু সব চালকের হাতে ওই টাকার রিসিট তুলে দেননি।

তারা যদি ২০ টি স্কুটার ও অটোবাইক থেকে টোলের ১০ টাকা আদায় করেন সেখানে খো গেছে ২০টির মধ্যে ৭-৮ জনকে সরকারি রিসিট দিয়েছেন। আর বাকি সব যানবাহন গুলো রিসিট ছাড়াই ঘাট থেকে বিদায় জানিয়ছেন।

এসব অনিয়মের জন্য মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি ) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার নিজেই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি লঞ্চঘাটের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, যানবাহনগুলো নিয়মমাফিক চলাচল করছে কিনা লঞ্চঘাটের দায়িত্বে থাকা লোকজন নিয়মিত সরকারি রাজস্ব আদায় করছে কি না তার ওপর অভিযান পরিচালনা করেন।

এছাড়াও ঘাটে আসা-যাওয়া যাত্রীদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না। চালকরা যাত্রীদের টানা হেছড়াএবং হকাররা নিরাপত্তাহীনতায় এক লঞ্চ থেকে অন্য লঞ্চে লাফিয়ে যাওয়াসহ নানা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

এ সময় তিনি ঘাটে প্রবেশের জন্য কয়েকজন অটো ও সিএনজি চালকের কাছে সরকারি রিসিট দেয়া হয় কিনা এবং কত টাকা করে চালকদের কাছে নিচ্ছে এটি জানতে চাইলে তারা নিয়মিত রিসিট পায়নি বলে জানায়। বেশ ক’জন অটোবাইক ও স্কুটার চালক জানান, তাদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে আদায় করা হয় ঠিকই কিন্তু তার পরিবর্তে সরকারি কোনো রশিদ দেয়া হয়নি। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব যানবাহন থেকে ১০ টাকা করে নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর সরকারি সেই নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইক থেকে যাতে রিসিট দিয়ে ১০ টোল আদায় করা হয় সেজন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও লঞ্চঘাটের বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের জন্য সাতদিনের সময় সীমা বেঁধে দেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার জানান, লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত সকলকে বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে সচেতনা করে দেয়া হয়েছে। যেসকল অনিয়ম রয়েছে আগামী সাতদিনের মধ্যে তা সুদরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাতদিন পরেও যদি তারা সব অনিয়ম সুদরিয়ে না নিয়ে কেউ অনিয়ম করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০৩ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার
ডিএইচ