Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর ওয়ারলেছে অস্ত্রের মহড়া : দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১০
চাঁদপুর ওয়ারলেছে অস্ত্রের মহড়া : দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১০

চাঁদপুর ওয়ারলেছে অস্ত্রের মহড়া : দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১০

ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেছ বাজার এলাকায় মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দিনভর দফায় দফায় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ সময় উভয় পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে ও ইবু গাজীর ভাগিনা রাজন নামের একজনকে আটক করে। বর্তমানে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে।

পুলিশ জানায় মাহবুব কাজীর সাথে তার ভাগিনা শফিকুর রহমান গাজীর সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে সোমবার দু’ পরিবারের মধ্যে বাককিত-ার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মাহবুব কাজীর ছোট ছেলে আহত হয়।

এ ঘটনায় মাহবুব কাজী বাদি হয়ে সোমবার চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৮-১০/১১/২০১৫। মামলায় সফিক গাজী ও তার ভাই সজিব গাজীসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। আর এ মামলার সূত্র ধরেই মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জাকির হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান।

এলাকাবাসি জানায় মাহবুব কাজী ও শফিক কাজী সম্পর্কে মামা ভাগিনা। তারা উভয়ই একই এলাকায় বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইবু গাজী এ প্রতিবেদককে জানায়, “আমি সকালে আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম এ সময় মাহবুব কাজীর নেতৃত্বে ভাড়া করা একদল সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার ছোট ভাই জসিম গাজীকে আহত করে। পরে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সন্ত্রাসীরা সেখানেও পুনরায় হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সফিক গাজী ও তার ভাতিজাসহ আরো বেশ কয়েকজনকে আহত হয়।

সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতির কারণে উভয়পক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর মডেল থানার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ এ প্রতিবেদককে জানান, ‘ওই এলাকা বর্তমানে শান্তিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো সহিংসতা এখন নাই।’

সংঘর্ষের ঘটনায় রাজন নামের একজনকে আটক করার বিষয়ে তিনি জানান, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।। আপডেট: ১১:৫০ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

ডিএইচ