চাঁদপুর

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ৭৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

দীর্ঘ ২০ মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ৪ বছর মেয়াদী (২০১৬-১৯) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ আগস্ট ৭৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিলেও রোববার (২৬ নভেম্বর) তা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত এ তালিকায় পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটোয়ারী দুলালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।


কমিটির কোনো পদেই বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওসমান গণি পাটওয়ারীর নাম নেই।

জেলার সাংসদসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিতে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি, অ্যাড. কাজী হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, অ্যাড. রুহুল আমিন, রিয়াজ উদ্দিন মানিক, গোলাম কবির চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব ইউনুছ মিয়াজী, আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন, আলহাজ্ব কায়কোবাদ চুন্নু মিয়া সরকার, ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান, ড. গোলাম মোস্তফা, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মধু পোদ্দার, মিজানুর রহমান রনি, শাহজাহান বকাউল ও আবদুস সোবহান পাটওয়ারীকে রাখা হয়েছে।

কার্যকরী কমিটিতে রয়েছেন,
সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী, ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু, শহীদুল্লাহ মাস্টার, আবুল খায়ের পাটওয়ারী, আলহাজ্ব বিল্লাল আখন্দ, সন্তোষ দাস, আঃ রশিদ সর্দার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শামসুল হক মন্টু পাটওয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভূঁইয়া।

সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ, অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, আমান উল্লাহ রাজু চৌধুরী।

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক : নূরুল ইসলাম জমাদার, দপ্তর সম্পাদক : মোঃ শাহ আলম মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম কন্ট্রাক্টর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক : রফিকুল ইসলাম কাজল।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক : প্রকৌশলী একেএম মোতালেব হোসেন; মহিলা বিষয়ক সম্পাদক : অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক : মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফ পাটওয়ারী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক : মাসুদ আলম মিল্টন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক : জিল্লুর রহমান জুয়েল; শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক : বিল্লাল হোসেন মজুমদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক : নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক : অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন মিঠু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক : ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক : তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, শাহীর হোসেন পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া।

উপ-দপ্তর সম্পাদক : অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : হাসান ইমাম বাদশা।

সদস্য তালিকায় রয়েছেন
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি: ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, মুনির আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক ফজলুল হক, ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী, হাজী আব্দুল লতিফ, রাধা গোবিন্দ গোপ, আবু তাহের পাটওয়ারী, রনজিৎ চাকী, হারুনুর রশিদ, এমএ কুদ্দুছ, কবির আহমেদ, আলী আরশাদ মিয়াজী, অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু, আবু সাহেদ সরকার, আব্দুল লতিফ, মাহবুবু-উল-আলম লিপন, হুমায়ুন কবির, গাজী মঈনউদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন সরকার, জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, ওয়াহাব জমাদার, সালেহ আহমেদ (শাহরাস্তি), অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ, আইয়ুব আলী বেপারী, বেগম সাজেদা সুলতানা কাঁকন, বেগম জাকিয়া সুলতানা শেফালী, রফিকুল ইসলাম কোম্পানী, খালেদুর রহমান মিঠু, অধ্যক্ষ ড. হাসান খান, আনিস চৌধুরী, মোতালেব জমাদার, বেলায়েত হোসেন বিল্লাল ও বেগম খোদেজা রহমানকে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১১ বছর পর গত বছরের (২০১৬) ২৭ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সম্মেলনে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এতে তৎকালিন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালকে পূণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশ্রাফুল ইসলাম সম্মেলনের অধিবেশনের প্রথম পর্বেই দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এ দুটি নাম ঘোষণা করে চলে যান।

এরপর দীর্ঘ ২০ মাস ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

মাঝখানের এ সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের দুই মাঝি অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছিলো।

প্রতিবেদক- দেলোয়ার হোসাইন
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৫৯ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Share