Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ৮ মডেল মসজিদ-ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে
model masjid
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে ৮ মডেল মসজিদ-ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে

সারাদেশের ন্যায় নান্দনিক ও অত্যাধুনিক ডিজাইনে চাঁদপুরে জেলা সদরে সরকারিভাবে ১টি ৮ উপজেলায় ৮ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।

এ গুলোর মধ্যে জেলা সদরেরটি সরকারি জমিতে, মতলব উত্তর, হাজীগঞ্জ, কচুয়া ও হাইমচরেরটি স্থানীয় সমাজসেবকদের দানকৃত ও বাকিগুলো অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটির স্থান ভেদে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি থেকে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা করে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে জেলা সদরটি ব্যতীত অন্যসবগুলোর কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। যা ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ রয়েছে ্

চাঁদপুরের জেলা সদরে ৪ তলা ভীতে সরকারিভাবে ১ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র পৌর পার্ক সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে সরকারি খাস জায়গায় নির্মাণ হচ্ছে। জমিসংক্রান্ত বিষয়ে অমিমাংসিত রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরের মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে চাঁদপুর-রায়পুর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসের দক্ষিণে জেলা পরিবার পরিকল্পনা ও জেলা পরিসংখ্যান অফিস সংলগ্ন অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে নির্মাণ হচ্ছে ।

মতলব উত্তরে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে ছেঙ্গারচর পৌর সভা সংলগ্ন দানকৃত জমিতে নির্মাণ হচ্ছে। চাঁদপুরে প্রথম এটির কাজ শুরু হয়। মতলব দক্ষিণের মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে নবকলস নামক স্থানে অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মাণ হচ্ছে ।

হাজীগঞ্জের মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে পশ্চিম কাজীর গাঁও কচুয়া সড়কের পাশে দানকৃত জমিতে নির্মাণ হচ্ছে । শাহরাস্তির মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে নির্মাণ হচ্ছে নিজ মেহের। ফরিদগঞ্জের মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলাভীতে উপজেলা বাউন্ডারির স্কুল মাঠ সংলগ্ন অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মাণ হচ্ছে ।

হাইমচর মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে নির্মাণ হচ্ছে হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীর বাড়ির সামনে তাঁরই দানকৃত জমিতে। কচুয়া মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৩ তলা ভীতে কচুয়া পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউটের পূর্ব পাশে দানকৃত জমিতে নির্মাণ হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বিবেচনাধীন ও অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি একটি ্। ‘প্রতিজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ১ টি করে ৮ টি ও জেলা সদরে ১ টি ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’হচ্ছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় ডিজাইন অনুযায়ী ৪৩ শতাংশ ভূমির ওপর উপজেলায় ৩ তলা ভীতে ও জেলা সদরে ৪ তলা বিশিষ্ট এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ।

স্থানীয় পর্যায়ে এক বা একাধিক সমাজহিতৈষী ব্যাক্তি এর জমি প্রদানকারী। চাঁদপুরে ৪ উপজেলায় জমি প্রদানকারী জমি দান করেছেন।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মে মাসে এর কাজ শুরু হয় যা ২০২১-২২ সালের ডিসেম্বরে এগুলোর নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরইমধ্যে ৮ টির নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘এ প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনাধীন একটি প্রকল্প। চাঁদপুরের এ প্রকল্পের কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই অগ্রগতির রির্পোট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পেশ করতে হচ্ছে। চাঁদপুরের মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো চালু হলে ইফার সব কাজ ,হজ্ব ও হজ্বের যাবতীয় বিষয় ও সমাজিক সমস্যা নিরসনে ধর্মীয় বিষয়ের রীতিনীতি সম্পর্কে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দু হবে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো।’

চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মো.শাহ আলম ইতোমধ্যেই বলেছিলেন ,‘প্রতিটি উপজেলা ও জেলা সদর হবে ইসলামী সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু ১ জন খতিব বা ইমাম ও ১ জন মুয়াজ্জিন সরকারিভাবে নিয়োগ দেয়া হবে।

স্ব স্ব উপজেলার প্রত্যেক হজ¦ সংক্রান্ত ও হজ্বযাত্রীর বিষয়গুলোর সকল প্রকার সেবা প্রদান, ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামি গবেষণাসহ ধর্মীয় ৮টি বিষয় ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

প্রকৌশলী (তড়িৎ) আবদুল্লাহ-আল-মামুন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো নির্মাণ হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ ধর্মীয় যে কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে তা’পাবে।’

তিনি আরো বলেন , সরকার এখানে ধর্মীয় উচ্চ শিক্ষিত আলেম-ওলামাকে নিয়োগ দেবে।একটি উপজেলার সকল ধর্মীয় বিষয়ের ফয়সালা এ মসজিদ থেকে প্রদান করা হবে। এছাড়াও মডেল মসজিদভিত্তিক ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো থেকে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা রোধে সুপরামর্শ পাবেন।’

আবদুল গনি, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯