চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরে ভূয়া স্বাক্ষরে হলফনামা : স্ত্রীর অধিকার দাবি

চাঁদপুর সদর উপজেলা ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম তাজ (২২) ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।

নোটারি পাবলিকের কার্যালয় ভূয়া সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে ঢাকা ডেমরা থানার ৪ নং ডেমরা গেইটের মৃত আলী আকবর আলেকের মেয়ে মোসাম্মৎ রাবেয়া আক্তার (তানিয়া) নামে এক নারীকে দিয়ে মিথ্যা বিয়ের হলফনামা তৈরি করে তাজুল ইসলামকে সমাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

তাজুল ইসলাম তাজ অভিযোগে জানান, গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) তানিয়া নামে এক নারী হটাৎ এসে জানায় সে ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামের ইব্রাহিম বকাউলের ছেলে তাজুল ইসলামের স্ত্রী। মেয়েটি তাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের জানায় তাকে স্ত্রীর অধিকার দিতে হবে।

এ বিষয়ে তাজুল জানায় সে ওই নারীকে কখনো দেখেনি বা চিনেনা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাজুল ইসলাম তাজ জানান, “আমি ধারণা করছি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের কুৎসারটাচ্ছে। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহের হলফনামা তৈরি করা হয়েছে সে হলফ নামায় অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াছমিন আলোর সিল এবং স্বাক্ষর ছিল।”

এ বিষয়ে অ্যাভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন জানান, “একটি লিখিত প্রত্যয়নে জানান, এটি আমার করনীয় হলফনামা নয়। তাছাড়া যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটিও তার স্বাক্ষর ও সিল নয় ।”

তাজুল ইসলাম তাজের এলাকার মেম্বার মো. মানিক জমাদার, কাজল জমাদার এবং রহিম খাঁনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন হলফানামাটি মিথ্যা বলে নিশ্চত করেন।

সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টি এলাকায় একটি চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

এই ব্যাপারে অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন আলো জানান, “মেয়েটি হলফনামায় যে ঠিকানা দিয়েছে তা হয়তো মিথ্যা হতে পারে। এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমাজে প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। এই হলফনামায় যেই নাম ও তারিখ বিবাহের দেওয়া হয়েছে তা আমাদের বালাম বইতে নেই। ছেলেটির নামে এই মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ষড়যন্ত্র করায় আমার কার্যালয়ে থেকে একটি প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছি।”

Share