Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ধান-চাল ক্রয় ১৬ হাজার ৪ শ’মে টন : লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার মে.টন
চাল আমদানির অনুমতি
ফাইল ছবি

চাঁদপুরে ধান-চাল ক্রয় ১৬ হাজার ৪ শ’মে টন : লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার মে.টন

চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলা থেকে সরকার সরাসরি ধান-চাল ক্রয় করছে । চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সাড়ে ১৭ হাজার মে.টন চলতি ইরি-বোরো,মিলারদের মাধ্যমে সিদ্ধ ও আতব চাল ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ।

১০ আগস্ট পর্যন্ত ক্রয় করা হয়েছে ধান ক্রয় করা হয়েছে ৪ হাজার ৭শ ১৭ মে.টন । চাল ক্রয় হয়েছে ১২ হাজার মে.টন।
১২ আগস্ট চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু এ তথ্য জানিয়েছেন ।

তিনি বলেন, ‘ চাঁদপুরে কৃষকগণ এবার ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে । প্রতি ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ১ ,০৪০ টাকা থেকে ১, ০৬০ টাকা। চাঁদপুরে আমরা ধান -–চাল সংগ্রহে অনেকটা এগিয়ে আছি । সরকারের এটা সাফল্য বলা যায় ।’

তিনি আরো বলেন, ‘ চাঁদপুরে মোট ১৩ হাজার মে.টন চাল মওজুদ রয়েছে । সুতরাং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনো খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা নেই । ধান ক্রয়ের সাথে সাথেই মিলে চলে যায় ।’

চাঁদপুরের ৮ ইপজেলা হতে চলতি অর্থবছরের বোরো মৌসুমে সাড়ে ৮ হাজার ৩ শ’৫৭ মে.টন ধান , ৭ হাজার ৪শ ৯৫ মে.টন সিদ্ধ চাল কিনবে ও ১ হাজার ৬ শ ১৭ মে.টন আতব চাল ক্রয় করবে সরকার । দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সরকারের এ পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মেয়াদ রয়েছে ৩১ আগস্ট ।

প্রাপ্ত সূত্র মতে , চাঁদপুরে এবার সরকারিভাবে কেজি প্রতি সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা করে চাল, ৩৫ টাকায় আতব চাল ও ২৬ টাকায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুমোদিত মিল মালিকগণের কাছ থেকে এ চাল সংগ্রহ করবে। সংশ্লিষ্ঠ স্ব স্ব উপজেলা কমিটি কর্তৃক ধান ক্রয় করবে।

চাঁদপুর জেলা খাদ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে , চলতি বছরের মে ২০২০ থেকে সারা দেশসহ চাঁদপুরের সকল উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করবে। সংশ্লিষ্ট চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুমোদিত কৃষকগণের কাছ থেকে যা কৃষিবিভাগের তালিকাভুক্ত এবং যাদের কৃষি সহায়তা কার্ড রয়েছে ও স্ব স্ব উপজেলা খাদ্য কমিটির অনুমোদিত তাদের কাছ থেকে ডিলারগণ চাঁদপুরের চাল,ধান ও গম ক্রয় করবে।

চাঁদপুরে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ইরি-বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দু’লাখ ৬৩ হাজার ২ শ’মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছেন। হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে । কৃষি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান,হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশাবাদী ।

চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬৩ হাজার ২শ মে.টন চাল।

চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২০১৯- ২০২০ র্অথবছরে ২শ ৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা কৃষি ঋণ ও দারিদ্রবিমোচনে বিতরণ করা হয়েছে সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও ২৪ টি বেসরকারি ব্যাংকে ৬৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল ।

সরকারি নির্দেশ মতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ওই চাল ও গম জিআর,টিআর,ভিজিটি, ভিজিএফ,আপতকালীন সময়ে ১০ টাকা কেজি ধরে ও জাটকা সংরক্ষণে ভিজিফ ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। যা স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধি কর্তৃক তা বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ১৮ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কেনার সিদ্ধান্ত ছিল। এরমধ্যে ৭৫ হাজার মে. টন গম,৬ লাখ মে. টন ধান, ১০ লাখ মে. টন চাল এবং দেড় লাখ মে. টন বোরো আতপ চাল কিনবে। এর মধ্যে সরকার মাঠ পর্যায়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৬ লাখ মে. টন ধান সংগ্রহ করবে। ইতিমধ্যে গম,চাল ও ধানের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আবদুল গনি , ১৩ আগস্ট ২০২০