Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫১ হাজার মে.টন
vagetables
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫১ হাজার মে.টন

চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় রবি,আউস, আমন ও বোরোর মত কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক গ্রীষ্মকালীন শাক-শবজি উৎপন্ন হয়ে থাকে।

জেলার কোনো কোনো উপজেলায় এখনো চাষাবাদ চলমান রয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের দায়িত্বরত কৃষিবিদ আবদুল মান্নান ২৭ এপ্রিল
এ তথ্য জানান ।

তাঁর দেয়া তথ্য মতে, চাঁদপুরে এ বছর (২০১৯-২০২০) শাক-সবজির চাষাবাদ ২ হাজার ৮ শ’ ৮০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫১ হাজার ৮ শ’ ৪০ মে.টন। ২৫ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯ শ ৫০ হেক্টর । ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ছিল ৪৪ হাজার ৫ শ মে.টন ।

বিশেষ করে চাঁদপুরের ১১ টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে এ শাক-সবজি ব্যাপকভাবে চরবাসীরা চাষাবাদ করে থাকে। নারীরাই এসব শাক-সবজি উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে । গরু, ছাগল , হাঁস , মুরগি ইত্যাদি গবাদি পশু প্রতিপালনে মেঘনা অববাহিকায় ও চরাঞ্চলে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অগ্রণীভূমিকা পালন করে আসছে।

দিন রাত পরিশ্রম করেই তারা এ শাক-সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত থাকে । কোনো কোনো এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে তারা ব্যাপক হারে শাক-সবজির চাষাবাদ করে আসছে। তাদের জীবিকার প্রধান বাহন কৃষি, সবজি চাষাবাদ ও হাঁস , মুরগি ইত্যাদি গবাদি পশু প্রতিপালন ।

চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন সরিষা, মরিচের পরেই শাক-সবজির স্থান। এটি এখন বেশ লাভজনক। চাঁদপুরের উৎপন্ন শাক-সবজি নৌ-পথে দেশের বিভিন্ন শহরে বন্দরে চলে যায় । এ বছর চাঁদপুরে ৫১ হাজার ৮ শ’ ৫০ মে. টন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের শাক-সবজি চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে শাক-সবজির চাষ করছে।

বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক শাক-সবজির উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দু:খের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো। চাষীরা ঋণসহায়তা পেলে শাক-সবজি চাষাবাদে আরোও উৎসাহী হতো।

চরাঞ্চলগুলি হলো-মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, সবজি কান্দি, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা,লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেব বাজার ও চরভৈরবির বাবুরচর ইত্যাদি।

গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে-চিচিঙ্গা, করলা, ডেঁড়স, বরবটি,পটর ,কাকরল, ধুন্দুল, ডাটা,ঝিংগা ,বেগুন প্রভৃতি।

চাঁদপুরের কুমারডুগি,মহামায়া,দেবপুর,মাস্টার বাজার,সুন্দরদিয়া এলাকায় ব্যাপকহারে ও বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা এসব শাক-সবজির চাষাবাদ করে থাকে ।

চাঁদপুরের ঔ কৃষিবিদ বলেন , ‘চরাঞ্চলের উৎপন্ন শাক-সবজি খুবই সতেজ ও তরতাজা। এসব শাক-সবজিতে কোনো রকম ফরমালিন মেশানোর প্রয়োজনীয়তা নেই। কেননা তারা বিক্রির জন্যে দিনের উঠানো গুলো দিনেই বাজারে বসে বিক্রি করে থাকেন।’

প্রতিবেদক : আবদুল গনি ২৭ এপ্রিল ২০২