Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ‘গায়েবী কূপ’ নিয়ে তোলপাড়
চাঁদপুরে ‘গায়েবী কূপ’ নিয়ে তোলপাড়

চাঁদপুরে ‘গায়েবী কূপ’ নিয়ে তোলপাড়

চাঁদপুর শহরের পৌরসভার ৫নং ওয়াডের উত্তর রঘুনাথপুরে গায়েবী কুয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। মনের বাসনা মিটাতে পানি নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে পুরুষ-মহিলা দল বেঁধে আসে।

শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপুল এলাকার ভূইয়ার বাড়ির পাশে বিলের মাঝখানে একটি গায়েবী কুয়া হয়েছে।

গায়েবী কুয়ার পানি নিয়ে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মহিলা-পুরুষ সিএনজি, অটোরিক্সা মাইক্রোবাসযোগে এসে কুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কবিরাজদের কথা মতো দম বন্ধ করে বোতলে পানি ঢুকিয়ে মহিলা পুরুষদের পানি নিতে দেখা যায়।

প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত গায়েবী কুয়া থেকে পানি নিতে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে আসছে। গায়েবী কুয়ার পানি নিতে আসা তারা জানায়, এ কুয়া থেকে পানি নিয়ে খাওয়ার পর মনের বাসনা পূর্ণ হয়েছে।

এ পানি খেয়ে দূর-দূরান্তের মানুষ সুফল পেলেও এলাকার মানুষ তা বিশ্বাস করে না। তেমনি এলাকার মানুষ এ সুফল বিশ্বাস না করায় সুফল ভোগ করতে পারিনি। ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদ আলম বাহার জানায়, ভূইয়া বাড়ির পাশে মহসিন গাজী ও আলী গাজীর ৭-৮ শতাংশ সম্পত্তির উপর হঠাৎ করে একটি গায়েবী কুয়া সৃষ্টি হয়।

এ গায়েবী কুয়ার খবর পেয়ে কবিরাজদের কথা মতো পানি নিতে মহিলা পুরুষ প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা গায়েবী কুয়ার পানিকে তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হচ্ছে এমন কথা তারা বললেও এলাকাবাসী তা বিশ্বাস করে না।

ওই সম্পত্তির মালিক মহসিন গাজী জানায়, ১০ বছর পূর্বে হঠাৎ রাতে বর্ষা মৌসুমে এ গায়বী কুয়াটি উৎপন্ন হয়। দুদিনের মধ্যে ছোট থেকে বিশাল বড় কুয়ায় পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকবার এ কুয়ার পানি সেচ দেয়ার জন্য সেচ মেশিন লাগিয়ে সেচ দেয়ার পর থেকে আরো বেশি পানি উঠতে থাকে।

এলাকার অনেকে দাবি, রাতের বেলায় জ্বীন পরীদের কুয়ার পাশে আড্ডায় পরিণত হয়। তাই ভয়ে কেউ রাতে কুয়ার পাশ দিয়ে আসে না।

এদিকে প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় পানি নেয়ার কাজ। লোকজন কাউকে বুঝতে না দিয়ে কুয়া থেকে পানি নিয়ে নীরবে চলে যায়। আবার কেউ কেউ এ পানি বোতলে ঢুকিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করারও খবর পাওয়া গেছে।

এ পানিতে সকল মনের বাসনা পূর্ণ হয়েছে এমন খবর জানিয়েছেন পানি নিতে আসা লোকজন। তবে সত্য না মিথ্যা তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

আনোয়ারুল হক[/author]

Leave a Reply