Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে কার্যকর ধর্মঘট না থাকলেও গাড়ি চালাতে বিমুখ চালকরা

চাঁদপুরে কার্যকর ধর্মঘট না থাকলেও গাড়ি চালাতে বিমুখ চালকরা

সড়ক ও পরিবহন নতুন আইন সংস্কারের দাবিতে চাঁদপুরে সাংগঠনিক ভাবে কোন আন্দোলন ধর্মঘট না করলেও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের অভাবে গাড়ি চালাতে বিমুখ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা। নতুন এ সড়ক আইনটি সংস্কারের জন্য সারাদেশে সাংগঠনিক ভাবে ধর্মঘট আন্দোলন করেন চালকরা।

কিন্তু সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরে বিভিন্ন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের এমন কোন কার্যক্রম করতে দেখা না গেলেও ২০ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুরের বিভিন্নস্থানে ধর্মঘট পালন করেন ট্রাক ও সিএনজি স্কুটার চালকরা। চাঁদপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং চাঁদপুর ট্রাক ও ট্যাংক লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক ভাবে কোন আন্দোলন পালন করেনি।

চাঁদপুর পৌর আন্তঃ বাস টার্মিনালে খবর নিয়ে জানাযায়, বুধবার সারাদিনই চাঁদপুর থেকে দুর পাল্লার সব জায়গার, সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেছে। সারা দেশে নতুন সড়ক আইন সংস্কারের এমন আন্দোলনের সাথে তাল মিলিয়ে চাঁদপুরে সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম হয়নি।

চাঁদপুর থেকে সিলেট সততা ও একতা পরিবহনের সুপার ভাইজার আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের এখানে কোন ধরনের যাত্রীবাহী বাস বন্ধ নেই। প্রত্যেক স্থানেই দুরপাল্লার সব ধরনের বাস নিয়মিত ছেড়ে যাচ্ছে। তবে তুলনা মুলক ভাবে আগের চেয়ে যানবাহন একটু কম ছেড়ে যাচ্ছে ।

যেখানে প্রতিদিন সব গাড়ি মিলিয়ে ১,শ থেকে ১২০ টি গাড়ি ছেড়ে যেতো চালকরা ভয়ে গাড়ি না চালানোর কারনে সেখানে এখন ৮০ থেকে ৯০ টি গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। তার কারন একটাই নতুন সড়ক আইন। নতুন এ আইনটির ভয়ে যেসব চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ীর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেই, কিংবা যেসকল চালকদের লাইসেন্স দুর্বল রয়েছে তাদের অনেকেই সেই আইনের ভয়ে সড়কে গাড়ি চালাচ্ছে না।

খবর নিয়ে জানাযায়, অন্যান্য দিনের মতো বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, দিনাজপুর, নোয়াখালি, লক্ষ্মিপুর, খাগড়াছরি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাঁদপুর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যাচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ভাপতি মোঃ বাবুল মিজির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাংগঠনিক ভাবে আমরা কোন আন্দোলনের সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ দেইনি। আমাদের চাঁদপুর বাস টার্মিনাল থেকে সব জায়গার সব ধরনের দুর পাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাদের হালকা লাইসেন্স কিংবা লাইসেন্স নেই, তারা হয়তো গাড়ি না চালানোর কারনে আগের তুলনায় কিছু গাড়ি কম ছেড়ে যাচ্ছে। আর যাদের সঠিক কাগজ পত্র রয়েছে, আমরা তাদেরই অভিবাবক। যাদের সঠিক কাগজ পত্র নেই আমরা তাদের অভিবাবক নই।

ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিলে নিয়মিত মিটিং করেছি, আবার করবো। আমাদের সিদ্ধান্ত সড়কে নিয়মিত গাড়ি চলবে। আমরা আন্দোলন করে কোন প্রকার ধর্মঘট করবোনা। সরকারের কাছে আমাদের অনেক চাওয়ার আছে, তা আন্দোলন করে আদায় না করে সাংগঠনিক ভাবে কাগজপত্রে লিখিত আবেদন করবো।

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ২১ নভেম্বর ২০১৯