Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরসহ সারাদেশে অনুমোদনের অপেক্ষায় ‘আত্মকর্মসংস্থান-দারিদ্রবিমোচন’ প্রকল্প
Bitac-chandpur

চাঁদপুরসহ সারাদেশে অনুমোদনের অপেক্ষায় ‘আত্মকর্মসংস্থান-দারিদ্রবিমোচন’ প্রকল্প

বাংলাদেশ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স সেন্টার তথা বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র। সংক্ষেপে বলা হয় বিটাক। কর্মক্ষম যুবকদের বিনা খরচে আবাসিক প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন শিল্প কারখানার জন্যে যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে তা সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশের শিল্প কারখানার জন্যে অভাবনীয় সাফল্যও রেখে যাচ্ছে এ বিভাগটি।

বিটাকের ‘আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন শীর্ষক প্রকল্প’টি এখন অনুমোদন’র অপেক্ষায় রয়েছে বলে এর অতিরিক্ত পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন । এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন শীর্ষক প্রকল্প’ (সেপা) একটি ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে চাঁদপুরসহ সারাদেশের বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রগুলো ‘আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন শীর্ষক প্রকল্প’ (সেপা) এর অধীনে বাস্তবায়ন হচ্ছে। চাঁদপুরে ২০১১- ২০১২ অর্থবছর থেকে ২০১৮- ২০১৯ বছরের জুন কোর্স পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। এর পরও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র,চাঁদপুর ৩ মাসব্যাপি ৬০ জনের একটি ব্যাচ সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে পারচালিত হয়েছে ।

প্রশিক্ষণ বিভাগে দু’ট্রেড তথা ইলেকট্রিক্যাল ম্যান্টিন্যান্স ট্রেড ও আর্ক গ্যাস বিষয়ে ওয়েল্ডিং ট্রেডে জেলার কর্মক্ষম যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ গ্রহণে কর্মক্ষম যে কোনো নাগরিক সংস্থার নির্দিষ্ট ফরমে সরাসরি হেড অফিসের বরাবর দরখাস্ত করতে হয়। সারাবছর এ আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে ব্যাচের সাথে সংযুক্ত করে প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর অতিরিক্ত পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর আলম ২৭ আগস্ট বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে একনেক বৈঠকে উপস্থাপিত না হওয়ায় প্রকল্পটি সাময়িক স্থগিত রয়েছে। তবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পাশ হওযার সম্ভাবনা রয়েছে ।’

প্রসঙ্গত , ২০১১-’১২ অর্থবছরে চালু হয়ে চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল কোর্স পর্যন্ত ২ হাজার ৯ শ ৭৫ জন চাঁদপুর জেলার কর্মক্ষম যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১১-’১২ অর্থবছরে ৩ শ ৬০ জন,২০১২-’১৩ অর্থবছরে ৬ শ ৩৯ জন,২০১৩-’১৪ অর্থবছরে ৬ শ ১ জন, ২০১৪-’১৫ অর্থবছরে ২ শ ৯৪ জন , ২০১৫-’১৬ অর্থবছরে ৪শ ২১ জন , ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে ৩ শ ৬০ জন এবং ২০১৮-’১৯ অর্থবছরের জানুয়ারি-ফেব্রুযারি কোর্স পর্যন্ত ২ হাজার ৯ শ ৭৫ জনকে ঔ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরো একটি ব্যাচ চলে ।

চাঁদপুর জেলা শহরের ওয়্যারল্যাস বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রটি ৭ বছরে ৩ হাজারেরও বেশি কর্মক্ষম যুবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। কর্মক্ষম যুবকগণ প্রশিক্ষণ শেষে এদের ৭০% দেশের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

আবদুল গনি , ২৯ আগস্ট ২০২০