Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ পাহারায় সমঝতা
গ্রামবাসীর

হাজীগঞ্জে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ পাহারায় সমঝতা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৫ রাত পাহারায় ছিল পুলিশ। কয়েকবার থানায় বসেও সমাধানে পৌছতে না পেরে অবশেষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল গিয়ে মঙ্গলবার রাতে সমঝতা পৌচেছে বলে জানা যায়।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব হরিপুর ও শ্যামলী গুচ্ছগ্রাম দুই দলের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয় গন্ধর্ব্যপুর গ্রামে।

এক পর্যায়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি রূপ নেয়। এতে উভয় দলের সাগর, আরিফ, সোহেল ও অপু আহত হয়।

শুক্রবার রাতেই গন্ধর্ব্যপুর বাজারে এ খেলা নিয়ে দুই গ্রামের হিন্দু ও মুসলমান ধর্মীয় ভাবে ২য় বার সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এতে হিন্দু সম্পাদয়ের মন্দির ও একটি ঘরে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠে। পুনরায় মুসলিম সম্পাদয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে গন্ধর্ব্যপুর বাজারে হিন্দু সম্পাদয়ের অবস্থান নিলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌচে পরিশ্চিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু দফায় দফায় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে শুক্রবার গভীর রাতে হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় রাত জেগে পরিশ্চিতি স্বাভাবিক করা হয়। দুই গ্রামবাসীর পরিশ্চিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে গন্ধর্ব্যপুর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় পরের দিন শনিবার থানায় হিন্দু ও মুসলিম সম্পাদয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ওসি হারুনুর রশিদ। সমঝোতা এগিয়ে রেখে অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে গন্ধর্ব্যপুর বাজারে দুই সম্পাদয়ের লোকজনকে এক করে সমঝোতা পৌছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের নেতা আলী আহমেদ ভূইয়া, ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ হীরা ও আক্তার হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।

এক পতিক্রিয়া হরিপুর মন্দিরের রক্ষক রবিদাস বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি খেলা নিয়ে হিন্দু মুসলিম সম্পাদয়ের মধ্যে এমন সংঘর্ষের রূপ নিবে। তবে সঠিক সমাধান হয়েছে এ জন্য তিনি প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহমেদ বলেন, বিষয়টি সমাধনের লক্ষে আমাদের এমপি মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সর্বাত্মক নির্দেশনা ছিল।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ পাহারায় ছিল। কয়েকবার উভয় সম্পাদয়ের লোকজনকে নিয়ে বৈঠকে বসে অবশেষে সমঝোতা পৌছাতে পেরেছি।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়