Home / বিশেষ সংবাদ / মৃত্যুর পর গিনেস বুকে স্থান পেল আলোচিত সেই ‘রানি’
গিনেস

মৃত্যুর পর গিনেস বুকে স্থান পেল আলোচিত সেই ‘রানি’

মৃত্যুর পর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্বীকৃতি মিলেছে সাভারের আশুলিয়ার শিকড় অ্যাগ্রোর বামন গরু ‘রানির’। গত ২৯ জুলাই রানির নাম গিনেস বুকে ওঠে। দেশ ও বিদেশে আলোচিত সেই রানির উচ্চতার ২০ ইঞ্চি ও ওজন ছিল ২৬ কেজি।

বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত সাভারের চারিগ্রামে শিকর অ্যাগ্রো ফার্মের রানি নামের ক্ষুদ্র গরুটি ১৯ আগস্ট দুপুরে সাভার উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যায়। মৃত্যুর পর বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি পেয়েছে রানি।

সাভারের চারিগ্রামের অ্যাগ্রো ফার্ম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখলে ও সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব জানান, রানি নামের বিশ্বের ক্ষুদ্র গরুটি ১৯ আগস্ট সকালে পেট ফুলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেলা পৌনে ১১টায় সাভার হাসপাতালে নিয়ে আসে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। পরে চিকিৎসকরা দেড় ঘণ্টা চিকিৎসা দেন রানিকে। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মারা যায় রানি।

এ ব্যাপারে ডা. সাজেদুল ইসলাম জানান, গুরুটির ব্লট/টিম্পানি রোগ বা পেটে গ্যাস জমেছিল। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। অনেক চেষ্টা করেও গরুটিকে বাঁচানো গেল না।

ফার্মে মালিক কাজী আবু সুফিয়ানের কাছে গরুটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানাননি।

তবে স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রানির গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে ই-মেইল পাঠিয়েছে। তিন দিন আগে রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে তারা।

তিনি আরও বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তারা শুধু দেখেছেন হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করা হয়েছিল কিনা? তবে আশার কথা হলো— রিপোর্টে এমন কিছুই পায়নি তারা।

গত কোরবানির সময় এ গরুটির দাম উঠেছিল পাঁচ লাখ টাকা।

ফার্মের মালিক কর্তৃপক্ষ গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে নাম লেখার জন্য আবেদন করেছিলেন। ২৯ জুলাই রানির নাম গিনেস বুকে ওঠে। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করে।