Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / গাভী পালনে ভাগ্য বদলে দিলে প্রবাস ফেরত কচুয়ার কাইয়ুম
গাভী পালনে ভাগ্য বদলে দিলে প্রবাস ফেরত কচুয়ার কাইয়ুম

গাভী পালনে ভাগ্য বদলে দিলে প্রবাস ফেরত কচুয়ার কাইয়ুম

চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার গুলবাহার গ্রামের যুবক মো. কাইয়ুম খান (৩২) দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছেন কয়েক বার। ২০১৩ সালে দেশে ফিরে এসে শখ জাগলো অস্ট্রেলিয়ান জাতের গাভী পালনে ডেইরি ফার্ম করার।

সে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে শখের বসে গুলবাহার বাজারের দক্ষিণ পাশে রাস্তা সংলগ্ন নিরিবিলি পরিবেশে খান ড্রেইরি ফার্ম নামে একটি খামার গড়ে তোলেন। ওই সময়ে জার্সি, ক্রস ও অস্টেলিয়ান জাতের ১০টি গাভীর মাধ্যমে ফার্মের যাত্রা শুরু করা হয়। খান ডেইরি ফার্মে বর্তমানে ছোট বড় বিভিন্ন জাতের ৪৮টি গাভী রয়েছে।

সরেজমিনে, কচুয়া পৌর সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে গুলবাহার খান ডেইরি ফার্মে কথা হয় ফার্মের পরিচালক মো. কাইয়ুম খানের সাথে। আলাপকালে ফার্মের বিষয়ে বিভিন্ন কথা হয় তার সাথে।

দেশে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে, এ ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথমত এটা মূলত শখেরবশত: করেছি। এখন সব থেকে পুরোপুরি ব্যবসায়ীক ধারায় চলে এসেছি।

এ ফার্ম তিনিসহ অপর ভাই মো. ফয়েজ আহমেদ খান সেলিম মিলে যৌথভাবে করেন। প্রায় ২শ’ ৪০ শতাংশ নিজস্ব ভূমির ওপর নির্মিত ফার্মটিতে ছোট বড় ৫০টি গরু রয়েছে। এতে ৫০/৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মালিক হওয়া বড় কথা নয়, অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার চাইতে নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করা অনেক ভালো। আমার এ ফার্মে গাভী ও বাছুরের লালন পালন ও পরিচর্যা করার বর্তমানে ১০জন স্টাফ, কর্মচারী রয়েছে। তারা আমার ফার্মে কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার খাচ্ছে, এটাই আমার স্বার্থকতা।

এ ফার্মে প্রতিদিন গড়ে ২শ’ কেজি দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে। এ দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আয় করা হয়। তবে কচুয়ায় শিল্পকারখানা ও বড় বড় বাজার না থাকায় দুধ সরবরাহে বিপাকে পড়তে হয়। বিশাল এ ফার্মে গাভী ও বাছুরগুলো একত্রে নিরাপদে রাখার জন্য আলাদা আলাদা কয়েকটি সেট করা হয়েছে। সেখানে গাভী ও বাছুর গুলো আলাদা ভাবে রাখা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফার্মের এক স্টাফ জানান, বর্তমানে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে মারত্বক অসুবিধা হচ্ছে। ফার্মে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় গাভীগুলোর পরিচ্ছন্ন পানি খাওয়ানো ও অন্যান্য খাবার দাবারে বেগাত পেতে হয়। সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

অপরদিকে এ খামারের বর্তমানে গাভী ও বাছুরের তেমন কোন রোগ বালাই না থাকলেও কচুয়া পশু সম্পদ কার্যালয়ের ডা. হায়দার আলী খান প্রতিনিয়ত এ খামারে গাভী পালনে সার্বিক খোঁজ খবর ও পরামর্শ দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে একটি উন্নতমানের ভাল ফার্ম তৈরী করতে চান প্রবাস ফেরত যুবক কাইয়ুম খান।

প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু , কচুয়া
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ২৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭,শনিবার
এইউ

Leave a Reply