করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণেরা

গত বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি বাবা-মা আর দাদার করোনা শনাক্ত হলেও দুই দফা পরীক্ষা করেও নেগেটিভ ফল পান রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা নোমান (২৬)। সে সময় বিশ্বজুড়েই দাপট ছিল করোনার ভারতীয় ধরন বা ডেলটার। তবে এবার নতুন ধরন ওমিক্রন থেকে রেহাই মেলেনি তাঁর। শুধু নোমানই নন, বর্তমানে আক্রান্তদের বেশির ভাগই তরুণেরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে আক্রান্তদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ বছর। তবে মারা যাচ্ছেন বয়স্করাই বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৩৩। এর মধ্যে চার হাজার ২৭ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩৫ বছর। ৩৬ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ছিলেন দুই হাজার ৯৮৬ জন। এরপরই ছিল ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের অবস্থান। সংখ্যায় যা এক হাজার ৯৬৯ জন। সে হিসাবে ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মোট রোগী ছিলেন সেদিন ৮ হাজার ৯৮২ জন।

পরদিন ২৬ জানুয়ারি, আক্রান্ত ১৫ হাজার ৫২৭ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৩১২ জনই ছিলেন ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী। পরদিনও মোট আক্রান্তদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী।

অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা গেছে, মৃত্যু বেশি হচ্ছে বয়স্কদের। করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার শুরু থেকে বয়স্কদের মৃতুই বেশি ছিল, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়লেও ডেলটার মতো ভয়ংকর না হওয়ায় এটিতে এখন পর্যন্ত দেশে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১১ হাজার ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিন মারা গেছে আরও ৩৩ জন। আগের দিন যেখানে আক্রান্ত ছিল ১২ হাজার ১৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩৬ জনের।

Share