Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় নিহত হাফেজ এনামুল হকের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
কচুয়ায় নিহত হাফেজ এনামুল হকের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কচুয়ায় নিহত হাফেজ এনামুল হকের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাঁদপুরের কচুয়ার বাইছারা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিশৃংসভাবে খুন হওয়ায় হাফেজ এনামুল হকের হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

৩০ মে শনিবার দুপুরে কচুয়া জামেয়া আহমেদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ওই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র হাফেজ এনামুল হকের পরিবারের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

কচুয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিসান আহমেদ নান্নু’র পরিচালনায় ছেলে হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাফেজ এনামুল হকের বাবা হাজী মো: মুজিবুল হক। এসময় হাজী মজিবুল হক বলেন, ওরা শুধু আমার ছেলেকে নয়। ৬মাসের নব বিবাহিত ৪মাসের অন্ত:সত্তা পুত্রবধুর জীবনকেও তারা ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। তিনি তার ছেলের হত্যার ২৪ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কচুয়া জামেয়া ইসলামিয়া আহমেদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও কচুয়া কওমী বোর্ডের সদস্য মাও. আবু হানিফ, কচুয়া থানা কওমী বোর্ডের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব, মুফতি মাও. মাহবুবুর রহমান, নিহতের ভগ্নিপতি বশির আহমেদ, চাচা জসিম উদ্দিন, চাচাতো ভাই মাওলানা নোমান শিকারী,ভগ্নিপতি মুফতি নূরুল ইসলাম,মাওলানা মো: ইসহাক,মামাতো ভাই মাও. নাছির উদ্দিন,চাচাতো ভাই হাফেজ ইব্রাহিম প্রমুখ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম বাবুল, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম,সদস্য মাসুদ রানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, ২৯মে শুক্রবার সকালে কচুয়া উপজেলার বাইছারা বাজার থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে পৌছলে হাফেজ এনামুল হককে নিশৃংস ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেয়ার সময় এনামুল হকের মৃত্যু হয়। এঘটনায় তার বাবা হাজী মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৬জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,৩০ মে ২০২০