কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডব, নিহত ৩

ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে দেয়াল ও গাছের নিচে চাপা পড়ে কক্সবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক, মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকার হারাধন দে এবং চকরিয়া উপজেলার আজগর আলী। এরমধ্যে রাত ৯টার দিকে ঘরের দেয়ালে চাপা পড়ে মারা যান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক, রাত ৮টার দিকে গাছচাপা পড়ে মারা যান মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকার হারাধন দে এবং চকরিয়া উপজেলার আজগর আলীও গাছ চাপা পড়ে মারা যান। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান।  

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাতাসের তীব্রতায় মহাসড়কের পাশে যে গাছ ছিল, সব ভেঙে গিয়ে সড়কের উপর পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধসহ মোবাইল নেটওয়ার্কেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দুর্যোগকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। 

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় সড়কে গাছ ভেঙে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহন আটকা পড়েছে। পরিস্থিতির স্বাভাবিক করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে হামুন। তবে রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর উপকূলে বাতাসের মাত্রা কমতে শুরু করে। মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে ঝড়ো হাওয়া। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে মনে হচ্ছে, হামুন কক্সবাজার অতিক্রম করেছে। তীব্র বাতাসের ফলে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়ে কয়েকটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বেশকিছু  ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বন্ধসহ মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিলতাও দেখা দিয়েছে। বুধবার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক জানা যাবে।

টাইমস ডেস্ক/২৫ অক্টোবর ২০২৩

Share