Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / জীবন ঝুঁকিতে ঈশানবালা পুলিশ ফাঁড়ির ১৫ সদস্য
Baherchor todonto kendro
বাহেরচর তদন্ত কেন্দ্র (ফাইল ছবি)

জীবন ঝুঁকিতে ঈশানবালা পুলিশ ফাঁড়ির ১৫ সদস্য

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা এলাকায় প্রায় ৭ হাজার বাসিন্দা ও মেঘনা নদীতে জলদস্যুসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাহেরচর তদন্ত্র কেন্দ্র (ঈশানবালা পুলিশ ফাঁড়ি)।

১৯৯৯ সালে এই ফাঁড়িটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। নদী ভাঙনের ফলে এই ফাঁড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে এখন টানাপোড়ন চলছে। বাড়া করা দুটি টিনের চালা ঘরে রাত্রী যাপন ও অফিস হিসেবে ইউনিয়ন ভূমি অফিস ব্যবহার হচ্ছে।

আসামীদের আটক করে এনে রাখাতো দূরের কথা দায়িত্ব পালনে নিজেদের থাকাটাই দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে এবং অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, গত দুই বছরে মেঘনার ভাঙনের কারণে মূল স্থান থেকে পুলিশ ফাঁড়িটে সরিয়ে ইশানবালা বাজারে স্থান পেয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, সোলার থাকলেও এখন অকেজো। অন্ধকারের মধ্যে থাকতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের।

ভূমি অফিসের ঘরটির দরজা জানাল ভাঙ্গা। চারদিকের বেড়াগুলো নাজুক। ভাড়া করা দু’টি ঘরেরও করুন অবস্থা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে পাকের ঘরটি নদীগর্ভে।

একজন পুলিশ সদস্য জানান, এই ফাঁড়িতে বর্তমানে এস.আই একজন, দুইজন এ.এস.আইসহ ১৫জন নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। কিন্তু তাদের জীবন যাপন খুবই কষ্টকর। যদি জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে কিংবা স্থানীয় চেয়ামর‌্যানের সহায়তায় বর্তমান ফাঁড়িটি স্থানান্তর করে একটি সেমিপাকা ঘর তৈরি করা হয়, তাহলে বর্তমান সংকট কিছুটা হলেও লাগব হবে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে পুলিশ ফাঁড়িটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পুলিশের জন্য একটি স্প্রীডবোর্ড প্রয়োজন। কারণ নদীই হচ্ছে এখানকার একমাত্র যাতায়াতের পথ। ইশানবালার দক্ষিণ পশ্চিম পাশে রয়েছে বরিশালের হিজড়া থানা, পশ্চিমে শরীয়তপুর জেলার ঘোষাইরহাট এবং পূর্বে সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন।

অপরাধীদের আটক করার জন্য অভিযান করতে ভালো নৌ-যান না থাকলেই কোন ভাবেই কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। কারণ অপরাধীচক্র কোন ঘটনা শেষে সহজেই নদী পথে পালিয়ে যায়।

ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই জাকির জানান, স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে ফাঁড়ির জন্য জায়গা নির্ধারণ করলে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করা যাবে। এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগ রয়েছে। পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের পূর্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ফাঁড়ির এই করুন অবস্থা থাকবে না।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ৩৩ এএম , ২০ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply