ইসলামী রোগের প্রকার ও চিকিৎসা

রোগ দুই প্রকার : কলবের রোগ, দেহের রোগ। কলব বা অন্তরের রোগ আবার দুই প্রকার :
সন্দেহজনিত রোগ : যেমন আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারার ১০ নং আয়াতে মুনাফেকদের প্রসঙ্গে বর্ণনা করেছেন- তাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, পক্ষান্তরে আল্লাহ তাদের রোগ আরও বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে গুরুতর শাস্তি যেহেতু তারা মিথ্য বলত।

প্রবৃত্তির রোগ : যেমন আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে সূরা আহযাবের ৩২ নং আয়াতে ঈমানদার ব্যক্তিবর্গের মাতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন- কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না যাতে অন্তরে যার রোগ আছে, সে প্রলুব্ধ হয়।

আর দৈহিক রোগ বিভিন্ন অসুখ ও সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অন্তরের চিকিৎসা মহান আল্লাহ শুধুমাত্র তার রসূলগণের মাধ্যমেই দিয়েছেন।
যেমন কলব বা অন্তরের সুস্থ্যতা রয়েছে নিজ স্রষ্টা বা পালনকর্তাকে জানার মাধ্যমে, তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলী জপে এবং তার নির্দেশিত শরীয়ত জানা ও মানার মাধ্যমে। এ ছাড়াও রোগ নিরাময় রয়েছে তাঁর সন্তুষ্টিকেই প্রধান্য দেয়া ও তাঁর নিষেধ ও অসন্তুষ্টি থেকে দূরে থাকার মাঝে।

পালনকর্তার চিকিৎসা দু’ভাবে :

প্রথম প্রকার : যা প্রতিটি জীবের মাঝে আল্লাহ তা’আলা সাধারণভাবে সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এগুলোর জন্য কোনও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় না। যেমন ক্ষুধার জন্য খাবার গ্রহণ, পিপাসায় পানি পান করা আর ক্লান্তিতে বিশ্রাম নেয়া।

দ্বিতীয় প্রকার হলো : যা চিন্তা ও গবেষণা করতে হয়। এ চিকিৎসা আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত শিক্ষা অথবা সাধারণ ঔষধ দ্বারা বা দুটোর দ্বারাই নিরাময় হয়ে থাকে।

অন্তরের রোগ: অন্তরের সুস্থতা ও সাধারণ অবস্থা থেকে পরিবর্তন হওয়া হলো অন্তরের রোগ। অন্তরের সুস্থতা হলো সত্যকে জানা, তা পছন্দ করা ও মিথ্যার উপর সত্যকে অগ্রাধিকার দেয়া।

আর অন্তরের অসুস্থতা হলো সন্দেহ করা অথবা সত্যের উপর মিথ্যাকে অগ্রাধিকার দেয়া। মুনাফিকদের ব্যাধি হলো সন্দেহ ও সংশয়ের রোগ, আর পাপিষ্ঠদের রোগ হলো প্রবৃত্তির গোলামী করা।

এ ছাড়া অন্তরের আরো অনেক ব্যাধি রয়েছে।
যেমন লোকদেখানো ইবাদত, অহঙ্কার করা, নিজেকে বড় মনে করা, হিংসা করা, আত্মঅহমিকা এবং জমিনে কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের লিপ্সা। আর এসব রোগ সন্দেহ ও প্রবৃত্তির গোলামীর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। এসব রোগ থেকে আমরা আল্লাহর নিকট সুস্থতা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

Share