Home / চাঁদপুর / ইফতারে তৃষ্ণা মেটাতে বাড়ছে আখের রসের চাহিদা
Akh-Ross

ইফতারে তৃষ্ণা মেটাতে বাড়ছে আখের রসের চাহিদা

পবিত্র রমজান মাসে ইফতারে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বাড়ছে আখের রসের। পুরো রমজান জুড়ে চাঁদপুর শহরের বিভিন্নস্থানে ভ্যান গাড়িতে করে আখের রস বিক্রেতাদেরকে মেশিনে আখ ছিবিয়ে রস সংগ্রহ করে তা বিক্রি করতে দেখা যায়।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রমজানে গরমের তাপমাত্রা শুরুতে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও শেষের দিকে এসে তাপমাত্রা একটু বেশি হওয়ায় মানুষের কাছে এর চাহিদাটা একটু বেশি দেখা দিয়েছে। মানুষজন সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় সবাই একটু পানি জাতীয় কিছু তথা শরবত দিয়ে ইফতারে তৃষ্ণা মেটাতে সাচ্ছন্দবোধ করেন। তাই লেবুর শরবত, বেলের শরবত ট্যাংকসহ অন্যান্য শরবতের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গাছ আখের রস দিয়ে তৃষ্ণা মেটাতে আগ্রহী।

এই গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর প্রচন্ড পানির তৃষ্ণা পায়। আর তাই ইফতারের সময় শরবতের প্রথম চুমুকটা যেন স্বর্গীয় শান্তি দেয় রোজাদারকে। ইফতারের শরবতটা তাই হওয়া চাই বিশেষ কিছু। এই রোজায় গতানুগতিক শরবতের বাইরে একটু ভিন্ন স্বাদের শরবত হচ্ছে আখের রস।

এক গ্লাস আখের রস শুধু তৃষ্ণা মেটাতে নয় শরীরের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। এই তীব্র গরমে শরীর প্রাণবন্ত করতেও সাহায্য করে। আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, বিভিন্ন খনিজ যেমন-ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম , ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স থাকে। এটি শরীরের ফিটনেস বজায় রাখতেও সাহায্য করে বলে জানিয়েছে বিশেসজ্ঞ চিকিৎসকরা।

অতীতে শুধুমাত্র পাপুয়া নিউগিনিতে আখের চাষ হলেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক দেশজুড়ে এর চাষ হয়। ছোট ছোট টুকরো করে অথবা রস করে এটি খাওয়া যায়। সাধারণত প্রতিবছরে শহরে আখের রস বিক্রি করতে দেখা গেলেও রমজানে এর চাহিদাটা রোজাদারদের কাছে একটু বেশি বলে জানা গেছে। তাইতো পুরো রমজান মাস জুড়ে শহরের বিভিন্নস্থানে আখের রস বিক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রেতারা তা ক্রয় করে বোতলে করে বাড়িতে নিয়ে যেতেও দেখাযায়।

ফরহাদ নামের একজন ক্রেতা এ প্রতিবেদককে জানান, গরমে তৃষ্ণা মেটাতে আখের রসের বিকল্প নেই। তা ছাড়া সব কিছুতেইতো ভেজাল, কিন্তু আখের রসে কোনো ভেজাল আছে বলে আমার জানা নেই। তবে একটু ঠান্ডার জন্যে বিক্রেতারা রসের সাথে বরফ মেশায়, যা ক্রেতাদের আরো তৃপ্তি বাড়িয়ে দেয়। রমজানে আমি প্রায় বাসার জন্যে বতলে করে আখের রস নিয়ে যাই।

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি

Leave a Reply