Home / খেলাধুলা / জরিমানার অঙ্কে আল আমিনের সাড়ে ১২ লাখ, সাব্বিরের ১২ লাখ
জরিমানার অঙ্কে আল আমিনের সাড়ে ১২ লাখ, সাব্বিরের ১২ লাখ

জরিমানার অঙ্কে আল আমিনের সাড়ে ১২ লাখ, সাব্বিরের ১২ লাখ

আল আমিনের জরিমানার অঙ্ক সাড়ে ১২ লাখ টাকা। সাব্বির রহমানকে জরিমানা দিতে হবে ১২ লাখ। জরিমানার অঙ্ক দুটি এত বিশাল, প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, অপরাধ কতটা গুরুতর?

বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছিল, ‘মাঠের বাইরে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গে’র অপরাধে এই শাস্তি। বিষয়টি নিয়ে আজ বেশ দীর্ঘ সংবাদ ​সম্মেলন হলো।

তবে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক দুজনের অপরাধ সম্পর্কে বললেন, ‘এটা তো আসলে বলার মতো কিছু না। কী ধরনের শৃঙ্খলাজনিত কারণ, প্রকাশ্যে সেটি আমরা বলতে চাচ্ছি না। বলতে চাচ্ছি না এ কারণে, এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না।’

মল্লিক না বললেও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমসহ ক্রিকেট খেলুড়ে অনেক দেশের পত্রপত্রিকায় বিষয়টি উঠে এসেছে। হোটেল রুমে নিয়মবহির্ভূত নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ার অপরাধেই এই বিশাল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে সাব্বির ও আল আমিনকে।

মল্লিক বলেছেন, বিসিসি সভাপতি নাজমুল হাসান শৃঙ্খলার ব্যাপারে ন্যূনতম ছাড় না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে শাস্তিটাও দেওয়া হয়েছে কঠোর, ‘ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে আমরা কোনো সময় কোনো ছাড় দিই না। আমরা বিষয়টি ধরতে পেরেছি, শাস্তি দিতে পেরেছি, এটাই বড় বিষয়। এটার মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিতে চেয়েছি। এই টুর্নামেন্টে কিন্তু অনেক বিদেশি খেলোয়াড় খেলছে। আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলছে। অনেক উদীয়মান খেলোয়াড় আছে, যারা সামনে জাতীয় দলে খেলবে। যে দুজন খেলোয়াড়কে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের দেখে তরুণেরা অনেক কিছু শিখবে।’

এত বড় ব্যাখ্যার পর মল্লিক অবশ্য যুক্ত করেছেন, ‘অপরাধ খুব যে গুরুতর ঘটনা, তা–ও না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে এসব ঘটা উচিত নয়। বিপিএলে আসলে তো আপনারা জানেন অনেক রকম বিতর্কের ব্যাপার থাকে। এসব ব্যাপারে আমরা আরও সিরিয়াস। যেহেতু এই টুর্নামেন্টটা আমাদের তরুণ প্রতিভা তুলে আনার গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। আমরা চাই না, এখানে কোনো বাজে কিছু দেখে তরুণ খেলোয়াড়েরা ভুল পথে পা বাড়াক।’

এমন ঘটনাও কিন্তু নতুন নয়। প্রশ্নটা উঠল, জাতীয় দলের তারকাদের ঘিরে কেন বারবার এমন হচ্ছে। মল্লিক বললেন, ‘যেই অন্যায় করছে, অল্প সময়ে মধ্যে তদন্ত করে আমরা তাকে শাস্তি দিচ্ছি। খেলোয়াড়েরাও অনেক শুধরে নিয়েছে। আগের চেয়ে তারা অনেক বেশি শৃঙ্খলাপরায়ণ। দু-একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা হবেই। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি কি না, সেই খেলোয়াড় ভুল শুধরে নিচ্ছে কি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’

এমন ঘটনা ঘটল, সেটিও টিম হোটেলে। যেখানে অনেক বেশি নিরাপত্তা থাকে, থাকে সতর্ক চোখ। মল্লিক বারবার ঘটনাটিকে ‘গুরুতর’ নয় বললেও মানলেন, ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক দেখেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।

যেন আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে এটা ছড়িয়ে না পড়ে। এই খেলোয়াড়েরাও যেন আর বিপথে না যায়। তবে এটা বড় উদ্বেগের কিছু নয়।’ (প্রথম আলো)

করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:০০ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply