চাঁদপুর সদর

চাঁদপুর সদর রামপুরে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের আলগী ছোট ব্রিজের গোড়া (স্বাধীন বাংলা বাজার) থেকে পাকিস্তান বাজার পর্যন্ত এবং আরেকটি রাস্তা ৪৯ নং সকদি পাঁচগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের শেষ সীমানা রেল লাইন পর্যন্ত এ দু’টি রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটি প্রায় বছর দশেক আগে পাকাকরণ হলেও পরবর্তীতে নতুন করে সংস্কার না করায় রাস্তা দিয়ে চালাচল করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনায় আশংকা এলাকাবাসী দু’টি রাস্তা দিয়েই যানবাহনে করে চলাচল করতে চান না।

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতেই মানুষের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দুটি রাস্তার দৈর্ঘ প্রায় ৪ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সংস্কার না করা ও বড় বড় নিষিদ্ধ ট্রাক্টর (ট্রাক) বিভিন্ন মালামাল নিয়ে চলাচল করায় এ রাস্তগুলোর বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

এদিকে দু’রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন ছোট সুন্দর আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ছোটসুন্দর আল-আমিন ছিদ্দীকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, পল্লী শিশু একাডেমী, সানফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন, সানরাইজ কিন্ডার গার্টেনসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে থাকে ধুলোবালি আর বর্ষায় কাদাসহ হাঁটু পানি।

কিন্ডার গার্টেনগুলোর শিশু শিক্ষার্থীরা ভ্যানে বা সিএনজিতে করে আসা যাওয়া করতেও ঝুঁকিতে থাকেন। বড় বড় গর্তে যে কোনো সময় যানবহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী একাধিক তরুণ এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় রাস্তার ছবি প্রকাশ করে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। দুটি রাস্তারই কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় রাস্তার কংক্রিট ও মাটি সরে গিয়ে রাস্তাজুড়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল আহমেদ ও মুন্না জানায় প্রায় বছর দশেক আগে এসব পাকা করার পর থেকে এ পর্যন্ত আর কোন সংস্কার করা হয়নি তাই রাস্তাগুলোতে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এছড়াও এ রাস্তুগুলো দিয়ে প্রতিনিয়তই বড় বড় ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করে পিচ ঢালাইয়ের সর্বশেষ অংশটুকোও এখন আর বাকি নেই।

সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রাস্তা পাকা করার পর থেকে এ পর্যন্ত আর কোন সংস্কার না করায় আজ রাস্তার এ বেহাল দশা। ৪৯ নং সকদি পাঁচগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের শেষ সীমানা রেল লাইন পর্যন্ত সড়ক ভেঙে এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, হাঁটাও দায়। এই সড়কটি এই এলাকার একমাত্র সড়ক। এর সংস্কার জরুরি।

একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার এ দুটি সড়কই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কগুলোতে খানাখন্দে বেহাল হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ এলাকাবাসী আসা যাওয়া করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। খারাপ রাস্তার কারণে আমরা যানবাহন নিয়ে বাড়ি ঘরে আসা যাওয়া করতে পারছি না। তাই এ রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

আলগী গ্রামের মির্জা সাদ্দাম জানান, আমি নিজ উদ্যোগে প্রায় সময় বন্ধু বান্ধবদেরকে নিয়ে রাস্তায় পানি দিয়েছি। যাতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা ধুলা বালু থেকে রক্ষা পায়। এ ধুলা বালুর কারনে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে।

ইউপি সদস্য বিশু মজুমদার জানান, রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষের চলাচল করতে কষ্ঠ হচ্ছে তা জানি। দুটি রাস্তাই সংস্কার কাজের জন্য প্রাক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ করা হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ মার্চ, ২০১৯

Share