Home / আন্তর্জাতিক / অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে আইএসের হাতে বন্দী শিশুরাও
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে আইএসের হাতে বন্দী শিশুরাও

অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে আইএসের হাতে বন্দী শিশুরাও

‎Monday, ‎27 ‎April, ‎2015  10:49:23 PM

আন্তর্জাাতিক ডেস্ক :

জঙ্গি গোষ্ঠি আইএসের হাতে বন্দী শিশুরাও দিনের পর দিন ধর্ষিত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি মু্ক্তি পাওয়া ২১৬ ইয়াজিদির মধ্যে ছিল এরকম বেশ কিছু শিশু। এদের বয়স ৯ বছরের কাছাকাছি। এসব শিশুর কাউকে আবার একাধিকবার বেআইনী গর্ভপাতও ঘটানো হয়েছে।

কানাডা ভিত্তিক একটি ত্রাণ সংস্থা রবিবার এই খবর প্রকাশ করে।

গত বছর আগস্টে ইরাকে প্রায় ৪০ হাজার ইয়াজিদিকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে আইএস সদস্যরা। ইরাকের সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়কে তারা শয়তানের উপাসক বলে ঘৃণা করে বলে জানায়। এই বন্দীদের মধ্যে নারীদের জোর করে বিয়ে, ধর্ষণ এবং দাসত্বে বাধ্য করে তারা।

রহস্যজনক কারণে এ মাসের শুরুতে এদের মধ্যে ২১৬ ইয়াজিদি বন্দীকে মুক্তি দেয় আইএস। নিজ এলাকা কুর্দিস্তানে ফেরা এই বন্দীদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে রয়েছে অনেক শিশু, যারা ৯ বছর বয়সেও আইএস সদস্যদের হাতে ধর্ষিত হয়ে এখন অন্তঃসত্ত্বা।

ত্রাণ সংস্থাটির চিকিৎসকরা জানান, এরা এত ছোট বয়সে গর্ভবতী যে সন্তান ধারণ করতে গিয়ে মৃত্যু অবধারিত। কারও কারও ক্ষেত্রে গর্ভপাত করানো সম্ভব হলেও সবার ক্ষেত্রে নয়। অনেকের গর্ভের বয়স বেড়ে যাওয়ায় গর্ভপাত ঘটানো ঝুঁকিপূর্ণ।

শুধু তাই নয়, ইরাকে আইএস’র (ইসলামিক স্টেট) হাতে বন্দী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারীরা যৌন দাসত্বের শিকার হয়ে আত্মহত্যা ও এর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার এ দাবি করেছে। খবর আলজাজিরার।
এ্যামনেস্টির দাবি, আইএস যোদ্ধাদের হাতে বন্দী ইয়াজিদি নারীদের অত্যাচার, ধর্ষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ইরাক ও সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে অবস্থানরত আইএস সদস্যদের কাছে ‘বিক্রি’ বা ‘উপহার’ হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
এ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা দোনাতেলা রোভেরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অত্যাচার, যৌন সহিংসতা ও যৌন দাসত্বের কারণে শত শত ইয়াজিদি নারী আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যৌন দাসী হিসেবে অনেক শিশুকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকের বয়স ১৪-১৫ বা তার চেয়ে কম।’
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইএস’র হাতে বন্দী ছিল এমন ৪০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই তথ্য পাওয়া গেছে।
বন্দিত্ব অবস্থা থেকে পালাতে সক্ষম হওয়া এক তরুণী জানায়, একদিন আমাদের নর্তকীদের পোশাকের মত পোশাক দিয়ে বলা হয়, গোসল করে ওগুলো পরে নিতে। গোসলখানায় গিয়ে জিলান (১৯) আত্মহত্যা করে। সে ছিল অনেক সুন্দরী। তার ধারণা হয়েছিল, এরপর তাকে ধর্ষণ করা হবে।
ওয়াফা নামে এক সাবেক বন্দী জানায়, সে এবং তার বোনকে বিয়ের হুমকি দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
১৬ বছর বয়সী রানদা এ্যামনেস্টিকে জানায়, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাকে অপহরণ করা হয়। সে ওখানে দুইবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলেও জানায়।
গত আগস্টে ইরাকের সিনজার পর্বতে ইয়াজিদিরা আটকা পড়ে।

এমআরআর/2015

নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes