Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে ৩ ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন গৃহবধূ
chintai-atok

ফরিদগঞ্জে ৩ ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন গৃহবধূ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে অন্য ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্যে আসার পথে স্বর্ণ বিক্রির কথা বলে কৌশলে তাঁর কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়ার ৩ মাস পর ওই চক্রটির ৩ সদস্যকে হাতে নাতে ধরলেন সর্বস্ব হারানো উপজেলার কাছিয়াড়া এলাকার বিল্লাল খানের স্ত্রী গৃহবধু নার্গিস বেগম।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর ওই ৩ ছিনতাইকারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাইকারীরা হচ্ছে- কচুয়ার হারুনুর রশিদ (৪৫),হাইমচরের খোরশেদ আলম (৩৮) ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার সুমন সরকার (৩৪)।

সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফরিদগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে ওই গৃহবধু ছিনতাইকারীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

গৃহবধু নার্গিস বেগম জানান, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ এনসিসি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএসের টাকা জমা দেয়ার জন্যে যাওয়ার সময় উল্লেখিত ছিনতাইকারীরা স্বর্ণ বিক্রি করবে,আরেকজন স্বর্ণ ক্রয় করবে এবং অপরজন স্বর্ণের বালা নার্গিস বেগমকে দেখানোর কথা বলে টিস্যুসহ বালতি তার নাকের কাছে নেয়ার পর তিনি কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে যান।

পরে তাদের কথামতো ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে ৫০ হাজার উঠানোর পর ওই তিনজন নার্গিস বেগমকে উপজেলা পরিষদের ভেতরের নির্জন স্থানে নিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার ৩ মাস পর সোমবার ওই গৃহবধু ফরিদগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের সামনে ওই প্রতারক চক্রের ৩ জনকে দেখে চিনতে পারে। পরে তাদের পিছু পিছু যেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোর্পদ করতে সক্ষম হন।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, থানায় আটক করার পর আটককৃতরা গৃহবধুর টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে। এক পর্যায়ে তারা ছিনতাইকৃত ৫০ হাজার টাকা এলাকা থেকে নিয়ে এসে বাদীর হাতে তুলে দেয়। পরে নার্গিস বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘আটককৃতরা সম্মিলিত ভাবে প্রতারক চক্রের সদস্য। এরা বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণালংকার দেখিয়ে মানুষের সর্বস্ব লুটে নেয়। এ ব্যাপারে মামলা দেয়ার পর তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নারগিস বেগমের সাহসিকতা ও সহায়তায় আমরা ছিনতাই হওয়া নগদ অর্থ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছি।’

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক

Leave a Reply