Home / আন্তর্জাতিক / মসজিদে হামলাকারীর রাইফেলে যা লেখা রয়েছে
benton...

মসজিদে হামলাকারীর রাইফেলে যা লেখা রয়েছে

দুই বছর আগের এ ঘটনা। সময়টা ছিল ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে মে। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল ওই হামলার ঘটনা ঘটে। উজবেকিস্তানের এক জঙ্গি সুইডেনের স্টকহোম শহরে লড়ি চালিয়ে পিষে মেরে ফেলেছিলো ৮জনকে৷

নিহতদের মধ্যে ছিলো ১১বছর বয়সী এবা নামের এক শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়ে। স্কুল থেকে ফেরার পথে মায়ের সাথে তাকেও লড়ির নিচে পিষে মরতে হয়েছিলো। গতকাল ছিলো মেয়েটির জন্মদিন। সেই হত্যার রিভেঞ্জ নিতেই ‘এবা’র জন্মদিনকেই বেছে নেয়া হয়।

স্টকহোম শহরে জঙ্গিদের ট্রাক চাপায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ হামলা বলে উল্লেখ করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এই ধারণার পেছনে হামলাকারীর রাইফেল লেখা কিছু শব্দ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে নিউজ ডট কম এইউ, টাইমস নাও এর মতো মিডিয়াগুলো।

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ এই হামলা চালিয়েছে নিজেকে ব্রেন্টন টেরেন্ট বলে পরিচয় দেয়া এই হামলাকারী ২৮ বছর বয়সী এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন শহরের অধিবাসী সে। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনোফেস্টো প্রকাশ করে।

রেন্টে যে রাইফেল নিয়ে এই হামলা চালান, সেটার গায়ে কিছু শব্দ লেখা ছিল। হামলার ভিডিওতে যে শব্দগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো, ‘To take revenge for Ebba Akerlund’।

এবা আকারলাউন্ড নামের ১২ বছরের সুইডিশ মেয়েটি ছিল শ্রবণ প্রতিবন্ধী । স্কুল থেকে ফেরার পথে সে স্টকহোমের সেই ট্রাকচাপায় সে প্রাণ হারায়। এবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই ক্রাইস্টচার্চে হামলা করে টেরেন্টে। তার রাইফেলের লেখা এবং তার টুইটার অ্যাকাউন্টের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করছে গণমাধ্যম।

নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করা ব্রেন্টন টেরেন্ট কেন এই হামলা চালিয়েছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। অস্ট্রেলিয়ার কিছু গণমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সুইডেনের স্টকহোম শহরে জঙ্গিদের ট্রাক চাপায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই নাকি টেরেন্ট এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

প্রতিশোধাত্মক এই ঘটনা ইতিমধ্যেই শান্তিকামী মানুষের মনে ভিন্ন এক শঙ্কা জাগিয়ে দিয়েছে। এভাবে যদি প্রতিটি ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়া শুরু হয়; তবে সারা বিশ্ব একসময় নরকে পরিণত হবে। ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে নিহত ৪৯ জনের মধ্যেও অন্তত দুজন শিশু বলে জানা গেছে। নৃশংস এই হামলার পর ধর্মের নামে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি তুলেছেন শান্তিকামী মানুষ।

বার্তা কক্ষ
১৫ মার্চ,২০১৯