Home / চাঁদপুর / বেতন বোনাসের দাবিতে চাঁদপুর ডব্লিউ রহমান জুট মিল শ্রমিকদের আন্দোলন
W-rahman-Jule-Mills

বেতন বোনাসের দাবিতে চাঁদপুর ডব্লিউ রহমান জুট মিল শ্রমিকদের আন্দোলন

চাঁদপুর পুরানবাজারের পূূর্ব শ্রীরামদী ডব্লিউ রহমান জুট মিলস্ লিমিটেডের শ্রমিকদের বেতন, মুজরি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করেছে শ্রমিকরা।
শনিবার (২৭ জুলাই) মিলের সামনে শ্রমিকরা বেতন বোনাসের দাবিতে মিছিল করে।

এদিকে মিলের শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম মিয়াজীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের বোনাস আত্বসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন।

তারা জানায়, গত বছর ডব্লিউ রহমান জুট মিলস্ শাহারা জুট মিলস্ লিমিটেডের কাছে মিলটি ভাড়া দেয়। আড়াই লাখ টাকা মাসিক ভাড়া নির্ধারণে গত ১ বছরে অর্ধেকের বেশি সময় পাট না থাকার অযুহাতে মিল বন্ধ রাখেন কর্তৃপক্ষ। ফলে মিল বন্ধ থাকায় অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করেন শ্রমিকরা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গত ১ মাস ২৬ দিন মিল বন্ধ। মাঝে দুই একদিন করে মিল চলেছে। বর্তমানে প্রায় ৩শ শ্রমিকের ১২ দিনের কাজের মুজরি ও ১২ জন স্টাফের ৩ মাসের বেতন কোম্পানির কাছে বকেয়া রয়েছে। মোট হিসেবে এর পরিমাণ অন্তত ৬ লাখ টাকা।

শ্রমিকরা বকেয়া টাকা চাইতে গেলে মালিক পক্ষের কাউকে না পেয়ে তারা মিলের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করে। তাদের অভিযোগ গত ঈদুল ফিতরে শাহারা জুট মিলস্ কতৃপক্ষ কোম্পানির বিভিন্ন দেনা ও শ্রমিকের বেতন বোনাস প্রদানে শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম মিয়াজীর কাছে দেড় কোটি টাকা প্রদান করে। বেতনের ৭০ ভাগ বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও এই শ্রমিক নেতা ৩ শ ৫ শ করে বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করে। আর বাকি টাকা নিজের পকেটে রেখে দেয়।

বিক্ষোভরত শ্রমিকরা দাবি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। কথা বললে হতে হয় চাকরিচ্যুত না হয় মারধরের শিকার। এবারও সে একি কায়দায় ঈদ বোনাস, বেতন ও মুজরীর টাকা আত্বসাত করছে বলে

শ্রমিকরা আরো অভিযোগ করেন, এ জুট মিলে শ্রমিক নেতারা নারী শ্রমিকদের অর্থের লোভ ও চাকুরীচূত করার ভয় দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। কিছুদিন আগে এক নারী অন্তস্বতা হওয়ায় আত্বহত্যা করতে গিয়েছিলো।

এ ব্যপারে ডব্লিউ রহমান জুট মিলের ম্যানাজার মাহমুদুল হাসান রিপন জানান, আমরা শাহারা জুট মিলস্ লিমিটেডের কাছে মিল ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু তারা মিল চালাচ্ছে সেহেতু শ্রমিকদের বেতন বোনাস তারা প্রদান করবে।

অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম মিয়াজী জানান,আমার বিরুদ্ধে শ্রমিকরা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। আমি তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে মিল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে ৭ আগষ্ট তারা শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করে দিবে। কতৃপক্ষ যদি না দেয় তাহলে আমার পকেট থেকে দিবো।
এসময় তাকে দেড় কোটি টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তবে দেড় কোটি টাকা প্রদানের বিষয়ে কোম্পানীর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা শাহজাহান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক, ২৮ জুলাই ২০১৯