Home / চাঁদপুর / প্রথম ধাপে চাঁদপুরের ২৭ কেন্দ্রে ২২ হাজার ৪৬৫ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে
primary-school
ফাইল ছবি

প্রথম ধাপে চাঁদপুরের ২৭ কেন্দ্রে ২২ হাজার ৪৬৫ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে

চাঁদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪ শ ৬৫ জন।

সোমবার (২০ মে) বিষয়টি চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন।

তথ্যমতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের প্রথম ধাপে আগামি শুক্রবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত হবে।এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪শ’৬৫ জন। চাঁদপুর সদরের ২৭ টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ৩শ ৭৪টি কক্ষে এ পরীক্ষার হবে।

প্রবেশপত্রের জন্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায় , স্ব স্ব বৈধ প্রার্থীর বেলায় মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে কোড নম্বর অনুযায়ী প্রার্থী নিজ দায়িত্বে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।

জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের লিখিত এ পরীক্ষা চাঁদপুর সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেই কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে কোন উপজেলার প্রার্থী কোন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে তা তার প্রবেশ পত্রেই উল্লেখ থাকছে।

কলেজ কেন্দ্রগুলো হলো : চাঁদপুর সরকারি কলেজে পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৫শ ও কক্ষ ৩০টি, মহিলা কলেজে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৪শ ও কক্ষ ১৫ টি, পুরাণ বাজার ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ও কক্ষ ১০ টি, বাবুর হাট কলেজে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২ শ ও কক্ষ ১৯টি ও খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন হাই স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার্থী ৯ শ ও কক্ষ ১৩ টি।

স্কুল কেন্দ্র গুলো হলো : হাসান আলী বালকে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ও কক্ষ ১৭ টি, মাতৃপীঠ বালিকায় পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৫ শ ও কক্ষ ২৭ টি, চাঁদপুর টেকনিক্যালে পরীক্ষার্থী ৮শ ও কক্ষ ১৩ টি,গণি আদর্শ পরীক্ষার্থী ৮শ ও কক্ষ ১৩টি, আক্কাছ আলী রেলওয়ে পরীক্ষার্থী ৬ শ ও কক্ষ ১৬ টি,লেডি প্রতিমায় পরীক্ষার্থী ৭ শ ও কক্ষ ১২ টি, ডি দেহলভি বালিকায় পরীক্ষার্থী ৫ শ ৬৫ জন ও কক্ষ ১২ টি,,ডি.এন হাই স্কুলে পরীক্ষার্থী ৪ শ ও কক্ষ ৮ টি, জিলানী চিশতি হাই স্কুলে পরীক্ষার্থী ৫ শ ও কক্ষ ১০ টি ।

আল আমিন ছাত্র শাখায় পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২শ ও কক্ষ ২৫ টি,আল-আমিন ছাত্রী শাখায় পরীক্ষার্থী ৭ শ ও কক্ষ ১৭ টি,ষোলঘর আদর্শ স্কুলে পরীক্ষার্থী ৭ শ ও কক্ষ ১৫ টি,বাগাদী গণিতে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ও কক্ষ ১৮ টি, পীর মহসীন উদ্দীনে পরীক্ষার্থী ৫ শ ও কক্ষ ১২ টি, এম নূরুল হকে পরীক্ষার্থী ৯ শ ও কক্ষ ১১ টি, হামায়া হানাফিয়ায় পরীক্ষার্থী ৫শ ও কক্ষ ৯ টি,পুরাণবাজার বালিকায় পরীক্ষার্থী ৪ শ ও কক্ষ ৭ টি ও মধুসুদনে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ও ১৭ টি কক্ষে পরীক্ষা হবে।

মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলো হলো : আহমিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী ৫ শ ও কক্ষ ১০টি,বিষ্ণুদি ইসলামিয়ায় পরীক্ষার্থী ৪ শ ও কক্ষ ৮টি ও বাগাদী আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী ৪ শ ও কক্ষ ৭ টি কক্ষে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাহাবুদ্দিন সোমবার (২০ মে ) চাঁদপুর টাইমসকে জানান , পরীক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২১ মে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সভা হবে।

এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্যে জানা গেছে , চাঁদপুরের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০ টায় এবং শেষ হবে ১১ টা ২০ মি.। স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগণ হবেন ‘কেন্দ্র প্রধান’। ২০ জন প্রার্থীর জন্যে একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োগ করবেন। প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালনে নিয়োগ করতে পারবেন।’

এ জেলায় ২ শ’৪০ টি পদ আপাতত; শূন্য রয়েছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যন্ত চাঁদপুরের শূন্য পদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা গেছে , এ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যদি কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত হয় তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাকে বহিষ্কার করে ঔ প্রার্থীর উত্তরপত্র বাতিল করা হবে।’

পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে ২৪ লাখেরও বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

এমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন,ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা’বুয়েট নির্ধারণ করবে।
এবারও আগের মতোই লিখিত ও মৌখিক দু’স্তরের পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষা ২০ নম্বর থাকবে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
২০ মে ২০১৯