মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য ৫টি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানিয়ে বলা হয়, ইতোমধ্যে একটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং আরো ৪টি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এতে জানানো হয়, যে কলেজটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সে কলেজটির নাম হচ্ছে ‘রাঙ্গামাটির রাবেতা মডেল কলেজ।’এ কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লংগডু মডেল কলেজ। বিশেষ সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছিল কলেজটি।
এতে আরো জানানো হয়, আর যে ৪টি কলেজের নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সেগুলো হচ্ছে হবিগঞ্জের মাদবপুরের ‘সৈয়দ সঈদউদ্দিন কলেজে ‘র পরিবর্তিত নাম মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রি কলেজ, কক্সবাজারের ‘ঈদগাও ফরিদ আহমেদ কলেজে ‘র পরিবর্তিত নাম ঈদগাও রশিদ আহমেদ কলেজ, টাঙ্গাইলের ‘বাশাইল এমদাদ হামিদা কলেজে’র পরিবর্তিত নাম বাশাইল ডিগ্রি কলেজ এবং গাইবান্ধার ধর্মপুর‘আব্দুল জব্বার কলেজে’র পরিবর্তিত নাম ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজ।
এক বছর আগে সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা কলেজগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা কলেজগুলোর নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়,কলেজগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের নাম চিহ্নিত করে তা পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বা বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে নামকরণ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
হাইকোর্ট যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তনের যে রায় দিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সকল ডিসিপ্লেনে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বইটি অবশ্যই পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ।(বাসস)
বার্তা কক্ষ , ১৫ নভেম্বর, ২০১৯