Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ভাইস বিনাভোটে মির্জা শিউলী বিপুল ভোটে বিজয়ী
mirza-sheuli

হাজীগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ভাইস বিনাভোটে মির্জা শিউলী বিপুল ভোটে বিজয়ী

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনিত গাজী মো. মাঈনুদ্দিন ও ভাইস চেয়ারম্যান পরে গোলাম ফারুক মুরাদ বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

আর ভোটযুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে মির্জা শিউলী পারভীন মিলি জয় লাভ করেছেন।

তিনি ২৫ হাজার ৫’শ ২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী শিউলী আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩’শ ১০ ভোট। পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে মির্জা শিউলী পারভীন মিলি ১৬ হাজার ১’শ ৯২ ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারি রিটার্নীং কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া রবিবার সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি মাত্র পদে মোট ৮৩ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৮ হাজার ৬’শ ২৭ ভোট।

এর মধ্যে বৈধ ভোট ৩৭ হাজার ৯’শ ৫১ ভোট, অবৈধ ৬’শ ৭৬ ভোট। এখানে ৫ মহিলা প্রার্থীর মধ্যে প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে মুক্তা আক্তার ২ হাজার ৯’শ ২৩ ভোট, বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে খাদিজা বকাউল ১’শ ১০ ভোট ও কলস প্রতীক নিয়ে পারভীন ইসলাম পেয়েছেন ১’শ ৬ ভোট।

কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দিনভর এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬’শ ৯১ জন ভোটার ছিল।

এর পূর্বে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় আওয়ামী সমর্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন ও ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ নির্বাচিত। এখানে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ৫ প্রার্থী ছিলেন।

তিনজনই ভোটের কয়েকদিন পূর্বে কারণ দেখিয়ে প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ান। হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ২০১৯ সাল থেকে নতুন নেতৃত্ব জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভিন মিলি।

বিজয়ী মির্জা শিউলী পারভীন মিলির হলফনামা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামীলীগ পরিবারের এই প্রার্থী এইচএসসি পাশ করে একটি কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করছেন।

গবাদী পশু পালন ও পার্টটাইম শিক্ষকতা থেকে বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে নগদ ৫ লাখ ৩৫ হাজার, ব্যাংকে জমা এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের পরিমাণ ১০ তোলা ও টিভি ফ্রিজসহ আসবাবপত্রের পরিমাণ প্রায় দুই লাখ টাকা রয়েছে।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
২৪ মার্চ, ২০১৯