চাঁদপুর

দলীয় আনুগত্য ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় ইব্রাহীম জুয়েলের মনোনয়ন প্রত্যাহার

দলের প্রতি আনুগত্য, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের বিকেল সাড়ে ৩ টায় জেলা পর্যায়ের বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমানের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারে আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রার্থী হিসেবে ইব্রাহীম জুয়েলের সভাপতিত্বে তাঁর ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে দলের সিনিয়র ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খলিলুর রহমান গাজী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহনেয়াজ খান ও সম্পাদক রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম মক্কু।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নেই বিধায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঐক্যফ্রন্টসহ দেশের অধিকাংশ দল আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। তাই আমরাও দল হিসেবে কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলকে এ নির্বাচন বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছি। যে নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকারের কোনো পরিবেশ নেই, সে নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আদর্শের মানুষ অংশ নেয়া উচিত নয়।’

সভা শেষে নেতৃবৃন্দ ইব্রাহীম জুয়েলকে সাথে নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার মোহাম্মদ শওকত ওসমানের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন। তাৎক্ষণিক রিটার্নিং কর্মকর্তাও প্রার্থির প্রত্যয়নকারী ও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রত্যাহার পত্র গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে ইব্রাহীম জুয়েল জানান, ‘চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, জেলার বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও ঐক্যফ্রন্টের জেলা আহবায়ক সফিউদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ মাস্টার, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ আবদুর রশিদ, সাবেক সহ-সভাপতি ইকবাল বিন বাশার এবং সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান ভূঁইয়াসহ সিনিয়র একাধিক নেতৃবৃন্দের পরামর্শে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি।

মি. জুয়েল আরো বলেন, আমি তৃণমূলের সমর্থন আর তরুণ ভোটারদের উৎসাহে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। কিন্তু আমি সর্বদাই দলের প্রতি আনুগত্য ও নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সে হিসেবে তাঁদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এরমধ্যে যেসব নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী, সাংবাদিকসহ যেসব ভোটার মনোনয়ন ফরম জমা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সহযোগিতা করে আসছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ মার্চ, ২০১৯

Share